ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রিতে (Bollywood) একটা সময় রাজত্ব চালিয়েছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee)। ১৯৬৭ সালে ‘বালিকা বধূ’ (Balika Vadhu) ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর একের পর এক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। শেষবারের মতন এই অভিনেত্রীকে দেখা গেছে ‘পিকু’ সিনেমায়। তবে মাঝেমধ্যেই পেজ থ্রিতে উঠে আসে অভিনেত্রীর নাম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মেয়েকে নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
সালটা ২০১৯। মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের বড় কন্যা পায়েল। সে সময় জানা গিয়েছিল, ছোট থেকেই নাকি জুভেনাইল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন মৌসুমী কন্যা। ২০১৭ সালে শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীর কন্যাকে। ২০১৮ সালে কোমায় চলে যান তিনি। সে সময় শাশুড়ির সঙ্গে এক প্রকার ঝগড়া-অশান্তি করেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পোশাক ব্যবসায়ী ডিকি সিনহা।
তবে খুব বেশিদিন বাঁচানো যায়নি তাকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৌসুমী কন্যা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শাশুড়ির দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিলেন ডিকি। আসলে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে কখনই ভালো সম্পর্ক ছিল না অভিনেত্রীর। শোনা যায়, একবার নাকি মেয়ের কাস্টেডি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর ডিকি জানিয়েছিলেন, পায়েলকে নাকি একবার শেষবারের মতন চোখের দেখা দেখতেও আসেননি মৌসুমী। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন পায়েলের বাবা এবং বোন মেঘা। আর এতেই শাশুড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় ডিকির। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী জানান, ‘ না চাইতেই ভগবান আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আবার কখনও কখনও ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমি আঁচল খালি করে মেয়েকে ভগবানের হাতে তুলে দিয়েছি। তবে এসবের জন্য আমার কষ্ট হয় না, আমি খুব সুখী। কারণ নিত্যদিন মা-বাবারা তাদের বাচ্চাদের হারাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হয় জওয়ানদের বাবা-মায়েদের। তাই তাদের কথা চিন্তা করেই আমি নিজেকে অনেকটা শক্ত রাখতে পেরেছি’।