Payel De

Moumita

এই বিজ্ঞাপন দেখেই চটলেন পায়েল, ‘এবার মানুষ হন’, কাস্টিং ডিরেক্টরদের উপযুক্ত জবাব অভিনেত্রীর

সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই চোখে পড়ে কাস্টিং ডিরেক্টরদের (Casting Director) বিজ্ঞাপন। নতুন মুখের সন্ধানে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে থাকেন তারা। আর সেইসব পোস্টেই লেখা থাকে কেমন শিল্পী চাই তার নিখুঁত বিবরণ। গায়ের রং থেকে শুরু করে উচ্চতা সবকিছুই মেনশন করা থাকে তাতে। তাই বলে শিশুশিল্পীদের (Child Artist) ক্ষেত্রেও কি এমন বিজ্ঞাপন মানা যায়?

   

সম্প্রতি এই বিষয়টা নিয়েই প্রতিবাদে নেমেছেন পায়েল দে (Payel Dey)। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “প্রত্যেক শিশুই সুন্দর, তাই ওই যে লেখেন ‘গুড লুকিং চাইল্ড অ্যাক্টর’ দরকার, তা বন্ধ করুন। আগে একজন ভাল মানুষ হন আর তারপর কাস্টিং ডিরেক্টর।” পায়েলের মতে, “শিশুদের ক্ষেত্রেও কেন এত সৌন্দর্যের প্রতি অনিবার্য টান? একজন শিশু সুন্দর নাকি অসুন্দর– সেই বিচার করবেনই বা কে?”

একথা বলাই বাহুল্য যে অভিনেত্রীর এই কথাকে সমর্থন জানিয়েছে তার অনুরাগী থেকে শুরু করে সহকর্মীরাও। এই বিষয়ে পায়েলের সুর সুর মিলিয়ে স্বস্তিকা দে (Swastika Dey) লিখেছেন, ” আমি সহমত পায়েল দি”। শুধু স্বস্তিকাই নয়, পাশাপাশি প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন আরো অনেকেই। সকলেই একবাক্যে বলেছেন, এইসব পোস্ট আসলে সামাজিক বিভাজন বাড়ায় কেবল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পায়েল নিজেও একজন মা। তবে ছেলেকে মিডিয়া লাইমলাইট থেকে দূরেই রাখতে চান তিনি। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর তাকেও কি কখনও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে? এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে বেশকিছু কথা বলেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে তার মতামত।

পায়েলের কথায়, “না ইন্ডাস্ট্রি ব্রুটাল বা খারাপ বললে ভুল বলা হবে। এই জগৎ থেকেই তো আমি সব কিছু পেয়েছি। আমার সবকিছু তো এখান থেকেই তৈরি। তবে হ্যাঁ, সাময়িক বিরতি নিয়ে যখন ফিরি, তখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে তেমন কিছু পাইনি। কিন্তু এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমাকে দেখে অনেকে, অনেকরকম প্রশ্ন তুলেছিল। মা হওয়ার পর আমার শারীরিক গঠন নিয়েও কটাক্ষ শুনেছি।”

এখানেই শেষ নয়, এর সাথে অভিনেত্রী আরো বলেন, “নায়িকার চরিত্রে অভিনয় নিয়েও উঠেছিল বহু প্রশ্ন। যদিও এগুলো আমাকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারে না।” পায়েলের কেরিয়ারের কথা বললে বর্তমানে তাকে দেখা যাচ্ছে ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে। স্টার জলসার এই ভক্তিমূলক ধারাবাহিকে রয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরীও।