পৃথিবীর কোনো চলচ্চিত্রই খলনায়ক (Villain) ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না, তা সে অ্যাভেঞ্জার্সই হোক বা শোলে। যে কোনো ছবিতে নায়কের (Hero) ভূমিকা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ভিলেনের। কখনও কখনও ভিলেনরা ছবিতে নায়কদের চেয়ে বেশি লাইমলাইট কেড়ে নেয় এবং তাদের দূর্দান্ত অভিনয় আমাদের হৃদয়ে কয়েক দশক ধরে বেঁচে থাকে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক বলিউডের (Bollywood) এমন প্রিয় কিছু ভিলেনকে।
১. অমরেশ পুরি : মোগ্যাম্বো হোক কী সিমরনের বাবা! বলিউডের এই খলনায়কের দাপটের সামনে হিরোরাও ফেল। একাধিক ছবিতে নিজের দাপুটে অভিনয় দিয়ে মানুষের মন জিতেছেন তিনি।
২. শক্তি কাপুর : ‘খেল খিলাড়ি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে অভিষেক হয় শক্তি কাপুরের। ভিলেন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও পরে তিনি কমেডিয়ান চরিত্রেও কাজ শুরু করেন। খলনায়ক হিসেবে শক্তি কাপুরের কিছু সংলাপ আজও ভোলার নয়, বিশেষ করে তোহফা ছবির ‘আও ললিতা’।
৩. রঞ্জিত (গোপাল বেদী) : ‘সাওয়ান ভাদো’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ করা রঞ্জিত তার কেরিয়ারে কমপক্ষে ১৫০ টি ধর্ষণের দৃশ্য অভিনয় করেছেন।
৪. আমজাদ খান : শোলে ছবির পর খলনায়ক বললে কেবল আমজাদ খানের নামই মাথায় আসে সবার। অভিনেতার চাল চলন, হাবভাব সবই এমন মানানসই যে, ভিলেইন রূপে তিনি অনবদ্য।
৫. প্রেম চোপড়া : প্রেম, যিনি ১৯৬০ সালে ‘মুড় মুড় কে না দেখ’ ছবির হাত ধরে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এবং ‘ওহ কৌন থি’ ছবিতে প্রথম খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ববি ছবির সংলাপ ‘প্রেম নাম হ্যায় মেরা, প্রেম চোপড়া’ এই সংলাপ আজও সবার কানে বাজে।
৬. দালিপ তাহিল : বাজিগর, রাজা, ইশক এবং কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করা দালিপকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘মেরে দেশ কি ধরতি’ ছবিতে।
৭. গুলশান গ্রোভার : ব্যাডম্যান নামে বিশেষ পরিচিত গুলশান গ্রোভার ১৯৮০ সালে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। তিনি শুধু হিন্দি নয়, জার্মান, হলিউড, ব্রিটিশ ও নেপালি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল সূর্যবংশী ছবিতে।
৮. ড্যানি ডেনজংপা : বি টাউনের ভয়ঙ্কর খলনায়কদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এই অভিনেতার বলিষ্ঠ অভিনয় মন কেড়েছে সকলের।