‘খেলাঘর’র (Khelaghor) সৌজন্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন স্বীকৃতি মজুমদার (Swikriti Majumder)। আর সেই জনপ্রিয়তায় হাওয়া দিয়েছে স্টার জলসার অপর এক সিরিয়াল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। কেরিয়ারের শুরুতেই দু-দুটি হিট সিরিয়ালে অভিনয় করে ফেলেছেন স্বীকৃতি। পূর্ণা হোক কী মৌ, দুটি চরিত্রেই তিনি সমান জনপ্রিয় দর্শকদের কাছে।
এর আগে ‘খেলাঘর’ সিরিয়ালটি অনেকদিন ধরে চললেও মাত্র পাঁচ মাসের মাথাতেই বন্ধ হচ্ছে ‘মেয়েবেলা’। স্বাভাবিকভাবেই আক্ষেপ রয়েছে তার মনে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘মৌঝর’ জুটিকে দর্শকরা আরও কাছাকাছি দেখতে চেয়েছিলেন।’ আসলে অর্পণ ঘোষালের সঙ্গে তার জুটিটা খুবই পছন্দ করছিলেন অনুরাগীরা।
মৌ-ডোডর প্রেম শুরু হতে না হতেই গল্প শেষ। তাদের প্রেম নিয়ে আরো অনেক কিছু দেখানো যেত, বা দেখানো বাকি ছিল। আজকেই শেষ পর্ব টেলিকাস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জীবনের বেশকিছু ব্যক্তিগত কথাও প্রকাশ্যে এনেছেন স্বীকৃতি। মুখ খুলেছেন নিজের পড়াশোনা এবং চাকরি জীবন নিয়েও। জানেন কি বাংলা সিরিয়ালের এই জনপ্রিয় নায়িকা পড়াশোনাতে কতটা মেধাবী ছিলেন?
সূত্রের খবর, ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার আগে স্বীকৃতি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এমনকি কলেজ ক্যাম্পাসিং থেকে একটা নামী কোম্পানিতে প্লেসমেন্টও পেয়ে গেছিলেন তিনি। এসবের মধ্যেই অংশ নেন এক বিউটি কন্টেস্টে। সেখানে দ্বিতীয় হন। আর তার ঠিক এক মাস পরেই স্টার জলসার তরফ থেকে কন্ট্যাক্ট করা হয় তার সাথে। প্রস্তাব আসে ‘খেলাঘর’র।
সুযোগটা তিনি হাতছাড়া করতে চাননি। স্বীকৃতি ভেবেছিলেন, পড়াশোনার ডিগ্রি তো তার রইলই। এগুলো যে কোন সময়ে কাজে লাগাতে পারবেন। জীবনটা একটু অন্যভাবে চালিয়েই দেখা যাক। এছাড়া নাচ এবং মডেলিং টাও বেশ পছন্দ করতেন তিনি। এইসব ভেবেই শুরু করেন শুটিং। আর ধীরে ধীরে সেটাকেই ভালোবেসে ফেললেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বীকৃতিকে সম্ভবত খুব তাড়াতাড়িই ওয়েব সিরিজ এবং সিনেমাতে দেখা যাবে। জানা গেছে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কথাবার্তাও চলছে। হয়ত আগামী মাসের মধ্যেই বড় পর্দা অথবা ওটিটি-র কোন একটা প্রোজেক্টে দেখা যাবে নায়িকাকে। এই মুহূর্তে আর কোন সিরিয়াল সাইন করতে চান না বলেই খবর। আসলে দর্শকদের মৌঝরকে ভুলতে সময় দিতে চান স্বীকৃতি।