All you need to know about Ishtikutum serial Bahamoni actress Ranita Das: বাংলা সিরিয়ালের(Bangla Serial) একসময় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন রনিতা দাস(Ranita Das)। ‘ইষ্টিকুটুম'(Istikutum) ধারাবাহিকে ‘বাহামণি'(Bahamoni) চরিত্রে অভিনয় করার পর খুব সহজেই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যান তিনি। দেখতে দেখতে টলিউড(Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৪ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই নায়িকা। ছোটপর্দায় চূড়ান্ত সফল হলেও বড়পর্দায় সফল হতে পারেননি অভিনেত্রী।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রনিতা বলেছেন, ‘এবার আমি বড়পর্দায় সাফল্যের স্বাদ পেতে চাই। সেইদিকেই এগোচ্ছি।’ বড়পর্দায় কাজ করার জন্য অনেক কাঠখড় তাকে পোড়াতে হয়েছে। ঝুলিতে একের পর এক হিট সিরিয়াল থেকেও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। এমনকি বড়পর্দায় অসফল হয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘খারাপ লাগে না আমার। আমি ছোটপর্দায় যে সাফল্য পেয়েছি অনেকেই আবার সেটা পায়নি। মাচা করার সময় জনপ্রিয়তার স্বাদ পেয়েছি আমি।’
প্রসঙ্গত, অভিনয় জগতে পা দেওয়ার আগে তিনি একটি নাচের রিয়ালিটি শো-তে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর সেই নাচের শোতে যুক্ত হয়ে তার ভাগ্য রাতারাতি বদলে যায়। রিয়ালিটি শো শেষ হবার পর অভিনয়ে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন রনিতা। যদিও সেই সময় সিরিয়ালটি মাত্র তিন মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপর ঠিক ছ মাস পরে স্টার জলসার ‘ধন্যিমেয়ে’ সিরিয়ালের জন্য ডাক পান তিনি।
এরপর ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকে ‘বাহমনী’র চরিত্র করার পরে সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছেছিলেন রনিতা। তবে এই চরিত্র থেকেও তিনি মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। এরপর আর কোন ধারাবাহিকে তাকে দেখা যায়নি। এই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে রনিতা বলেছেন, ‘বাহা চরিত্রটা আমার জীবনের এমন একটা অতীত যেখান থেকে পেয়েছি অনেক কিছু।’ তিনি মনে করেন ইষ্টিকুটুম তার জীবনের অনন্য সম্পদ। জীবনে যখন ভালো কিছু আসে তখন তার বিনিময়ে অনেক কিছু দিতে হয়।
এই সিরিয়ালে কাজ করার সময় তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ ছিলেন। তার শিরদাঁড়ায় সমস্যা হয়েছিল। আর সেই জন্যেই তিনি নিজের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এই চরিত্র থেকে সরে দাঁড়ান। কিছুদিন আগেই তার সঙ্গে অভিনেতা সৌপ্তিক চক্রবর্তীর প্রায় দীর্ঘ ১০ বছরের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও বলেছেন, ‘আপাতত শুধু ‘মায়া’র মধ্যে আছি আমি। আর সম্পর্ক এক একটা সময় তৈরি হয়। সেটার একটা সময়সীমা থাকে। আমার মনে হয় কোনও কিছু সঠিক ভাবে না চললে সেটাকে টেনে লম্বা করার কোনও মানে নেই। সেটাকে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা উচিত। কারণ সেটা যত বাড়ানো হবে ততই তিক্ততা বাড়বে।’