ট্রেনে (Indian Railways)যাতায়াত করতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ ভারতীয়রা (India)। একদিকে যেমন সস্তায় হয় যাতায়াত ঠিক তেমনি বজায় থাকে স্বাচ্ছন্দ্য। এমনকি কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন লোকাল ট্রেনে(Local Train)। কম খরচে আরামে ভ্রমণের জন্য ভারতীয় রেল ব্যবস্থার(Indian Rail Service) জুরি মেলা ভার। আর সে কারণেই রেল পরিষেবাকে বলা হয়ে থাকে ভারতের লাইফলাইন।
ব্রিটিশ আমলে প্রথম শুরু হয়েছিল রেল চলাচল। তবে ভারতের স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের পর মর্ডান রেলওয়ের সূচনা হয়েছে ভারতে। জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রতিটি রেল স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে এমনই এক তথ্যই আমরা যা হয়তো অনেকেই জানেন না।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের রেল স্টেশন গুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল রেললাইন। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি রেললাইন ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। আর সেই তালিকা পেয়েছে ‘মনু স্টেশন'(Manu Station)। জানা যাচ্ছে, এই স্টেশনটিও দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক প্রান্ত পেয়েছে ভারত(India) এবং অন্য প্রান্ত পেয়েছে পড়শীদেশ বাংলাদেশ(Bangladesh)।
জানা যাচ্ছে, মনু বাজার(Manu Bazar) স্টেশনটি ত্রিপুরা ঢালাই জেলার অন্তর্গত। তেলিয়ামুড়া এবং আম্বাসা লাইনের মধ্যেই রয়েছে বিশেষ এই স্টেশনটি। এই স্টেশনে দাঁড়ায় মোট ৪ টি ট্রেন। তবে বাংলা ভাগের আগে এই স্টেশন দিয়ে ছুটত বহু ট্রেন।
তবে বর্তমানে ভাগ হয়ে গেছে এই স্টেশন। একদিকে বাংলাদেশ এবং অন্যদিকে ভারত। ব্রিটিশ প্রশাসক রাডক্লিভের ছবির কারণেই আজ বিভক্ত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ। আর এই দুই দেশের মাঝে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘মনুবাজার রেলস্টেশন’।