বছরে তো বারেবারে ঘুরতে যান, প্রিয় ‘দীঘা’র পুরোনো নাম জানেন? ৯৯% বাঙালিই জানেন না উত্তর!

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় ঘোরার জায়গা দীঘা(Digha)। হাতে এক-দুদিনের ছুটি পেলেই দীঘার সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটাতে চলে যান বাঙালীরা। এমন মানুষও আছেন যারা দীঘাকে তাদের নিজেদের দ্বিতীয় বাড়ি ভেবে নিয়েছেন। তবে সে যাই হোক, কম খরচের মধ্যে এবং সামনাসামনি ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হিসাবে দীঘা বেস্ট।

সন্ধ্যেবেলায় দীঘার সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়া আপনার স্ট্রেস ভুলিয়ে দেওয়ার এক অব্যর্থ ওষুধ। তবে এই যে আপনি বার বার দীঘা নামটা নিচ্ছেন, সেই ‘দীঘা’ নামটির উদয় কোথা থেকে হল সেটা কি জানা আছে? নিশ্চয়ই ঘাবড়ে গেলেন! তবে জানুন এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস।

আজকের এই প্রতিবেদনে এই ইতিহাস নিয়েই আপনাদেরকে জানাবো। তখন অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার মসনদে মীরকাশিমকে নবাব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেইসময়  গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংসের নজরে আসে সমুদ্রের ধারের এই এলাকা। তিনি তখন এই জায়গাটির নাম দেন  ‘ব্রাইটন অফ ক্যালকাটা’।

১৭৮০ সালে নিজের স্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে ওয়ারেন হেস্টিংস এই জায়গাটির নামটি উল্লেখ করে দেন। জানা যায়, এই জায়গাটির মনোরম পরিবেশ মনে ধরে যায় ইংরেজ সাহেবের। তিনি গরমের সময় এখানে প্রায়ই চলে আসতেন। এমনকি এখানে থাকবেন বলে  ১৭৭৫ সালে একটি বাংলো নির্মাণ করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে সেই বাংলো ভেঙে যায়। অগাস্টাস হিকি সম্পাদিত ‘বেঙ্গল গেজেট পত্রিকা’তেও এই বীরকুলের হদিশ মেলে।

জানা যায়, এই বীরকুল থেকেই পরবর্তীকালে নাম হয় দিঘা। এরপর ১৯২৩ সালে জন ফ্রান্স স্মিথ নামে এক ইংরেজ ব্যবসায়ী পর্যটক এখানে এসে বাংলো বানিয়ে থাকতে শুরু করেন।  তার বিভিন্ন লেখা থেকেই এই দীঘার জনপ্রিয়তা বাড়ে।  এরপর দেশ স্বাধীন হলে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়কে দিঘাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন স্মিথ। ১৯৫০ সালে বিধান চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি বাড়ে দীঘার। আর এরপরের ইতিহাস তো সকলের জানা।

Papiya Paul

X