নিউজশর্ট ডেস্কঃ বছর ২৩-র গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরকে (Maithili thakur) কে না চেনে। শুধুমাত্র হারমোনিয়াম ও তবলা সঙ্গতে নিয়ে তিনি অনায়াসে গেয়ে ফেলেন কঠিন কঠিন লোকগীতি, ভজন, বা রাগাশ্রয়ী গানগুলি। লোকসঙ্গীত (Folk Song) গেয়ে সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই তরুণী গায়িকা। পাশাপাশি জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে বিহারকেও (Bihar)।
এই গায়িকার জন্ম হয় বিহারের মধুবনীতে অবস্থিত বেনিপট্টি নামক একটি ছোট গ্রামে। বাবা রমেশ ঠাকুর একজন সঙ্গীত শিল্পী। সেই সূত্রেই তারও সঙ্গীতের সাথে পরিচয়। মাত্র ৪ বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখা শুরু করেছিলেন তিনি। আজ আমরা আপনাকে মৈথিলী ঠাকুরের জীবনের সাথে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচ্ছি, যা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না।
এরপর ২০১১ সালে জি টিভির শো লিটল চ্যাম্পস-এ অংশ নেন তিনি। কিন্তু মৈথিলী ঠাকুর সেই শোতে বিজয়ী হতে পারেননি, যদিও তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে দারুণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও আরো ৬ টি ভিন্ন গানের শো-তে অংশ নিতে দেখা গেছিল তাকে। তবে এইসব কোনো শো-তেই বিজয়ী হতে পারেননি তিনি।
কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী মৈথিলী নয়। এরপর ২০১৫ সালে জিনিয়াস সিঙ্গিং স্টারের খেতাব জিততে সফল হন। এবং এরপর মৈথিলীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দুই বছর পর ২০১৭ সালে রাইজিং স্টারের মঞ্চে তার অনন্য গায়কি দক্ষতা দেখিয়েছিলেন মৈথিলী ঠাকুর। এরপর থেকেই গায়িকার ফ্যান ফলোয়িং বাড়তে থাকে।
এদিকে, মৈথিলী দিল্লিতে থাকার সময় বাল ভবন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করছিলেন। তারপরে তিনি আত্মা রাম সনাতন ধর্ম কলেজে ভর্তি হন। এরপর ২০১৮ সালে শুরু হয় ইউটিউব সফর। ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি ভিডিও আপ্লোড করেন। বর্তমানে তার ইউটিউব চ্যানেলে ৩.৭৭ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
তবে কেবল মৈথিলী একা নয়, তার ছোট ভাই ঋষভ ঠাকুর এবং আয়াচি ঠাকুরকেও এই চ্যানেলে দেখা যায়। তারা মূলত মৈথিলীকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং যন্ত্র বাজানোতে সাহায্য করে। এদিকে গায়িকার আয়ের কথা বললে, এই YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আয় করেন। তার সাথে রয়েছে ব্র্যান্ড প্রমোশনের টাকা।