নিউজশর্ট ডেস্কঃ আমাদের রাজ্যেই শুধু নয় গোটা দেশেই চাকরির বাজার খুব খারাপ। তাই এখনকার দিনে ব্যবসার(Business) দিকেই বেশি ঝুঁকছেন নতুন প্রজন্মের মানুষ। কিন্তু ব্যবসা করলেই তো হবে না ব্যবসা সফল হওয়াও দরকার। তাই এমন ব্যবসা করতে হবে যার চাহিদা থাকবে সারাবছর। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে অল্প বিনিয়োগে ব্যবসার(Unique Business Idea) ক্ষেত্রে বেশ লাভবান হতে পারে প্রাকৃতিক এবং অন্য ঔষধি গাছ চাষ।
এই গাছগুলি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অব্যর্থ। তাই উৎপাদকদের জন্য এই গাছ চাষ বিপুল আয় দিতে পারে। অশ্বগন্ধা,শতবরী কিংবা জেরানিয়ামের মতো এই উদ্ভিদগুলি ওষুধ, প্রসাধনী এবং ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, ভারতের জাতীয় ঔষধি উদ্ভিদ বোর্ড এইসব ঔষধি উদ্ভিদ চাষের বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতির উপর ৩০,৫০ কিংবা ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তাই লাভের কথা ভাবেই ব্যাপক সংখ্যক কৃষক থেরাপিউটিক গাছ লাগানোর কাজে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। এই প্রতিবেদনে এমনই পাঁচটি ঔষধি গাছের চাষ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১. অশ্বগন্ধা চাষ: আয়ুর্বেদ এবং ইউনানীর মতো চিকিৎসায় অব্যর্থ অশ্বগন্ধা গাছের শিকড়। অশ্বগন্ধা পাউডার, নির্যাস এবং বড়িগুলি এর মূল্য সংযোজন পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে। ফসল পাকার সময় পাতা শুকিয়ে যায় আর বেরিগুলি হলুদ-লাল হয়ে যায়। বীজ বপনের প্রায় ২০০ দিন পরে, শিকড়ের জন্য ফসল তোলা হয়। অশ্বগন্ধা চাষে প্রতি হেক্টরে আনুমানিক ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হলেও, এটি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
২. গুলখাইরা চাষ: লাভজনক ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখায় গুলখাইরা। কৌশলগতভাবে বপন করেই এই ফসল থেকে বেশি লাভ পাওয়া যায় । এর ফুল, পাতা, ডালপালা এবং বীজ থেকে পাওয়া উপাদানের বাজারে ব্যাপক চাহিদা। প্রতি বিঘা জমিতে গুলখাইরা চাষ করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
৩. লেমনগ্রাস চাষ : কম পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামতে চাইলে লেমনগ্রাস চাষ করা যেতে পারে। এই ব্যবসায় মোটা টাকা লাভও হয়। লেমনগ্রাস চাষ করতে মাত্র চার মাস সময় লাগে। প্রসাধনী, সাবান, তেল এবং ওষুধ সহ বিভিন্ন শিল্পে লেমনগ্রাস তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জানলে অবাক হবেন ২০ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র এক হেক্টর জমিতে লেমনগ্রাস চাষ করে প্রতি বছর ৫ লাখ টাকাও আয় করা সম্ভব।
৪. শতবরী চাষ : শতবরী হল একটি অ্যাসপারাগাস। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই গাছের শুকনো শিকড় ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। এক একর জমিতে শতবরী চাষ করে আনুমানিক ৬ লাখ টাকা আয় হতে পারে।
৫. জেরানিয়াম চাষ: জেরানিয়াম উদ্ভিদের তেল অ্যারোমাথেরাপি, প্রসাধনী, সুগন্ধি এবং সুগন্ধযুক্ত সাবানে ব্যবহৃত হয়। এই সুগন্ধি গাছের জন্য গড়ে প্রতি তিন থেকে চার মাসে ফসল কাটা হয়। এক লিটার জেরানিয়াম তেলের ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
(এখানে বলে রাখি এই প্রতিবেদনের সমস্ত তথ্য অনুমানমূলক পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তথ্য দেওয়া হয়েছে।তবে যেকোনও বিনিয়োগের আগে আপনার নিজের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।)