নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) প্রেমীদের কাছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa)জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে আর বলার নেই কিছুই। এখন এই ধারাবাহিকের প্রত্যেক পর্বেই থাকছে টানটান উত্তেজনা। যা থেকে এক মুহূর্তের জন্য চোখ সরাতে পারছেন না দর্শক। সদ্য মিশকার (Mishka) সমস্ত চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছে দীপা (Deepa)। দেবীপক্ষের আগে সূর্যকে (Surjo) জেল থেকে বার করে আনার পাশাপাশি দীপা জেনে গিয়েছে মিশকার প্রেগনেন্ট হওয়ার রহস্য।
মিশকা যে অসৎ ডাক্তারকে দিয়ে বেআইনিভাবে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রেগনেন্ট হয়েছে তা এখন সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে দীপা। কিন্তু তারপরেও মিশকার গর্ভে থাকা সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধরের কথা ভেবে দীপা মিশকাকে জেল থেকে বার করে এনেছে। যদিও দীপার এই সিদ্ধান্তে একেবারেই সমর্থন ছিল না সূর্যর। অন্যদিকে জেল থেকে বেরিয়েই মিশকা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতে শুরু করে দিয়েছে।
পেটের সন্তানকে হাতিয়ার করে সে এবার লাবণ্য সেনগুপ্তকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে চলেছে। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে ইচ্ছা করে সোসাইটির লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাদেরকে উত্তপ্ত করে দিয়েছিল মিশকা। তাই তারা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বললে যখন সেটুকু রেকর্ড করে নিয়ে লাবণ্যকে দেখায় মিশকা। আসলে লাবণ্য যে রেস্তোরাঁয় সেমিনারে গিয়েছে সেখানে গিয়েই মিশকা ইচ্ছা করে নাটক শুরু করে।
টাকার অভাবে দু’দিন না খেয়ে রয়েছে বলে কান্না জুড়ে দেয় মিশকা। মিশকার এই করুণ অবস্থা দেখে তাকে নিজের হাতে খাইয়ে আসে লাবণ্য। তখনই সেখানে এসে সেই দৃশ্য দেখে ফেলবে রুপা আর দীপা যার ফলে আর স্বাভাবিকভাবেই দীপা লাবণ্যকে ভুলবুঝবে। এইভাবেই এবার শ্বাশুড়ি বউমার সম্পর্কে ফাটল ধরাবে মিশকা।
আগামী পর্বে দেখা যাবে মিশকা লাবণ্যকে সমানে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। তার কাছে মাথার ছাদ, নেই খাবার টাকা নেই তাই সে নিজেকে এবার শেষ করে ফেলবে। কিন্তু দীপা লাবণ্যর বিপদের কথা আঁচ করে তাকে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে যাবে। এরপর দেখা যাবে বাড়ি গিয়ে লাবণ দীপার ভাঙানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু দীপা বলবে তার থেকে এই ব্যবহার সে কোনদিন আশা করেনি।
সেই সাথে দীপা জানায় যে সে তাকে আর চিনতে পারছে না। তার মনের মধ্যে কি চলছে সেটাও আর বুঝতে পারছে না দীপা। লাবণ্য তার কাছ থেকে এত কিছু লুকিয়ে যাবে সেটা মানতেই কষ্ট হচ্ছে বলে জানাবে দীপা। তাই এদিন এক নিমেষেই দীপার মনে লাবণ্যর জন্য থাকা সমস্ত বিশ্বাস মাটিতে মিশে গিয়েছে। দীপা লাবণ্যকে জানায় সে সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধরের কথা ভেবে মিশকাকে জেল থেকে বার করে আনলেও সে কখনই এতটা মহান হতে পারবেনা যে সে মিশকাকে ক্ষমা করে দেবে।