নিউজ শর্ট ডেস্ক: দিনের পর দিন দাম বাড়ছে মোবাইলের সিম কার্ড (Sim Card) রিচার্জের (Recharge)। এখন প্রতি মাসেই শুধুমাত্র সিমটা চালু রাখতেই অনিচ্ছাকৃত ভাবেই বেশ ভালো অংকের টাকা চলে যায়। এখন অধিকাংশ টেলিকম সংস্থাগুলিই (Telecom Operator) সিম চালু রাখার জন্য একই নিয়ম করে দিয়েছে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা একটার বেশি সিম ব্যবহার করেন। তাদের জন্য প্রতিমাসে এত দাম দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করা সত্যিই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
তাই এমন অনেকেই আছেন যারা প্রত্যেক মাসে বিরক্ত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই মোবাইলে রিচার্জ করেন না। কিন্তু এবার থেকে এমনটা করলে তার ফল ভুগতে হবে গ্রাহকদেরই। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই রায়ে এখন টেলিকম অপারেটরদের পোয়া বারো।
সম্প্রতি একজন আইনজীবী একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে জানিয়েছিলেন যাতে ফোন নম্বরে রিচার্জ না করলে তা যেন অন্য কোনও গ্রাহককে বিক্রি না করে টেলিকম সংস্থাগুলি। কারণ এক্ষেত্রে আগের ব্যক্তির সব তথ্যই পরেরজন পেয়ে যেতে পারেন। এই মামলার রায়েই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে কোনও ব্যক্তির তথ্যের গোপনীয়তার দায় সেই ব্যক্তির নিজের।
তাই হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপের সমস্ত তথ্য তাকেই সামলে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সিম অন্য ব্যক্তির হাতে যাওয়ার আগে তা মুছে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় আনুযায়ী এই ধরনের সিম বিক্রি করার ব্যাপারে টেলিকম সংস্থাকে বারণ করা যায় না। তাই তথ্যচুরির ভয় থাকলে ব্যক্তিকেই সামলে রাখতে হবে সেই তথ্য।
সাধারণত অনেক দিন কেউ কোনো প্ল্যান রিচার্জ না করালে সিমের বেশ কিছু পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে গ্রাহকদের আউটগোয়িং কল, এসএমএস-এর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কেউ কোন সিম রিচার্জ করতে না পারলে তা রিচার্জ করার জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলি সংস্থাগুলি গ্রাহকদের কমপক্ষে ৯০ দিনের সময় দিয়ে থাকেন।
এই ৯০ দিনের মধ্যে রিচার্জ করলে সিমটি আবার আগের মতোই কাজ করতে শুরু করে। আর রিচার্জ না করলে তা ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। ট্রাই-এর নিয়ম মেনে এর পর ওই নম্বরগুলি খোলা বাজারে পাওয়া যায়। সংস্থা চাইলেই নতুন কোনও গ্রাহককে ওই ফোন নম্বর বিক্রি করে দিতে পারে।