নিউজশর্ট ডেস্কঃ পারফিউম(Perfume) হল এমন একটি জিনিস যেটা সব ধরনের মানুষ ব্যবহার করে থাকেন। বাজারে কম দামি হোক কিংবা বেশি দামি বিভিন্ন রকমের পারফিউম পাওয়া যায়। যদি চাকরি ছেড়ে অন্য কোন ব্যবসার কথা ভাবনা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই পারফিউমের বিজনেস আপনার জন্য একটি প্রফিটেবল বিজনেস হতে পারে। আজকের এই প্রতিবেদনে এই বিজনেস আইডিয়া(Business Idea) সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো।
ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমে মার্কেটে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন রকমের পারফিউম সম্পর্কে ভালো করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে রিসার্চ করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বিক্রি হওয়া পারফিউম গুলোর প্রত্যেকটির গন্ধই একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে যে আপনি কি ধরনের পারফিউমের ব্যবসা(Perfume Business) করতে চাইছেন।
এই ব্যবসা শুরু করার আগে এমন অনেক কিছু বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকা বিশেষ প্রয়োজন। এগুলো জানলে আপনি সঠিক ভাবে আপনার বিজনেস চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই আলাদা আলাদা রকমের পারফিউম পাওয়া যায়। আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি মেয়েদের জন্য পারফিউম বানাবেন নাকি পুরুষের জন্য পারফিউম বানাবেন।
আরেকটা জিনিস মনে রাখবেন পারফিউম এবং ডিও কিন্তু দুটোই আলাদা প্রোডাক্ট। এই ব্যবসা শুরু করার আগে পারফিউম এবং ডিওর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সেটাও ভালো করে জানতে হবে। আর সর্বোপরি এই ব্যবসা শুরু করার আগে পারফিউম কোম্পানিকে আপনার কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার নিজস্ব কোম্পানির নাম নির্বাচন করতে হবে সেক্ষেত্রে নামটি এমন রাখবেন যাতে সেটি খুব এট্রাক্টিভ হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডারকে কাজে লাগিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, কয়েকদিনের মধ্যেই কামাবেন মোটা টাকা
এমন জায়গায় এই পারফিউমের ব্যবসা গড়ে তুলতে হবে যেখান থেকে খুব সহজে আপনি মার্কেট থেকে কাঁচামাল আনতে পারেন এবং মার্কেটে আপনার প্রোডাক্ট সাপ্লাই করতে পারেন। এর সাথে উপযুক্ত কর্মচারী, বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি রাখতে হবে। আপনি অনলাইনে এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।
ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন এমন টাইপের ওয়েবসাইটগুলোর সাথে যোগাযোগ করে অথবা আপনার নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেও পারফিউম বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু টাকা পুঁজির প্রয়োজন হয় তাই আপনার কাছে যদি অত টাকা না থাকে তাহলে লোন নিয়ে নিতে পারেন। আর এই ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। পরবর্তীকালে আপনার ব্যবসা আরো বড় পর্যায়ে পৌঁছালে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়।