নিউজ শর্ট ডেস্ক: ট্রেন (Train) ছাড়া সাধারণ মানুষের জীবন যে কতটা বিপর্যস্ত হতে পারে তার প্রমাণ মিলেছে করোনা মহামারীর সময় লকডাউন চলাকালীন। তাই এমনি এমনিই ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) আমাদের দেশের লাইফ লাইন বলা হয় না। ভারতীয় রেল হল বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। দেশের মোট ১১৫,০০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ভারতীয় রেল। ভারতের মোট ৭ হাজার ৩৫৯টি স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৩,১৬৯ টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৮,৪৭৯ টি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে।
প্রতিদিন ভারতীয় রেলে যাতায়াত করে উপকৃত হয়ে চলেছেন কোটি কোটি মানুষ। কম খরচে দ্রুত যে কোন জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় রেলের ওপরেই চোখ বুজে ভরসা করেন সকলেই। ভারতে এমনও ট্রেন রুট আছে যেখানে ৪৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ট্রেনের সময় লাগে পাঁচ ঘন্টা। আবা এই দেশেই রয়েছে এমনও ট্রেন যেখানে একটা ট্রেনই ছুটে চলে দীর্ঘ ৮০ ঘন্টা ধরে।
ভারতের এই দীর্ঘতম রেলপথ হল ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী। এই রেলপথেই টানা পাঁচ দিন ধরে ছুটে চলে বিবেক এক্সপ্রেস (Vivek Express)। চা বাগানে ঘেরা আসামের এই ছোট্ট শহর ডিব্রুগড় স্টেশন থেকেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিবেক এক্সপ্রেস। ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ৪১৮৯ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ৫দিন।
দীর্ঘ এই সফরে ন’টি রাজ্যের ৫৮ টি স্টেশন অতিক্রম করে এই বিবেক এক্সপ্রেস। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দশটি স্টেশন আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ি, কিশানগঞ্জ, মালদা,রামপুরহাট,দুর্গাপুর, আসানসোল,আদ্রা,বাঁকুড়া,মেদিনীপুর। ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০-তম জন্মবার্ষিকীতে প্রথম চালু হয়েছিল এই বিবেক এক্সপ্রেস।
দূরত্ব আর সময়সীমার জন্যই বিবেকানন্দের নামের ওপরেই এই ট্রেনের নাম রাখা হয়েছে বিবেক এক্সপ্রেস। যা ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন। এই ট্রেনে ১টি এসি টু টিয়ার, ৪টি এসি থ্রি টিয়ার, ১১টি স্লিপার ক্লাস থেকে শুরু করে ৩টি জেনারেল সিটিং, ১টি প্যান্ট্রি কার ও ২টি পাওয়ার কাম লাগেজ রেক সহ মোট ২২টি কোচ রয়েছে। আগে এই ট্রেনটি সপ্তাহে দুদিন অর্থাৎ শনি এবং মঙ্গলবারই শুধু চলতো। কিন্তু এখন সপ্তাহে শনি,রবি,মঙ্গল এবং বৃহস্পতি মোট মোট চার দিন চলে এই ট্রেন।