নিউজ শর্ট ডেস্ক: এক বছর আগে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সফর শুরু হয়েছিল কুশ-পাখির ‘রাঙা বউ’য়ের (Ranga Bou)। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই দর্শকরা ফিরে পেয়েছিলেন ছোট পর্দার ‘ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালের পুরনো জুটির দীপ্ত-নয়ন’-কে। দীর্ঘদিন বিরতিতে থাকার পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই বহু বছর পর আবার কামব্যাক করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। আর ঠিক এক বছর পর ওই একই দিনেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরেই সফর শেষ হতে চলেছে রাঙা বউয়ের।
ইতিমধ্যেই ৯ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে এই সিরিয়ালের অন্তিম পর্বের শুটিং। ধারাবাহিকের প্রায় এক বছরের একটা লম্বা জার্নি শেষ হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ মন খারাপ অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের (Shruti Das)। সেই কথাই এদিন একটি স্ক্রিনশট সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা যাচ্ছে টুটু বসু নামে এক ব্যক্তি রাঙা বউ ধারাবাহিকের অন্তিম পর্বের শুটিংয়ের কলটাইম জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথোপকথনের স্ক্রিন শট শেয়ার করে পর্দার রাঙা বউ লিখেছেন একটি দীর্ঘ বার্তা। শ্রুতির কথায় ঝরে পড়েছে বেশ খানিকটা আবেগ। অভিনেত্রীর কথায় ‘হাতে নতুন কাজ থাকা অবস্থায় কর্মরত প্রজেক্টের শেষ কলটাইম পাওয়া আর অনির্দিষ্ট পথ চলা শুরু হওয়া অবস্থায় চলতি কাজের শেষ কলটাইম পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক।নিশ্চয়ই প্রথম উদাহরণ টা আমার ক্ষেত্রেও একদিন কার্যকরী হবে।তবে অনিচ্ছাকৃত-অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিরতি যেন আমার এবং আমার মতো রাঙাবউ টিমের অনেকের জন্য সুখকর হয় এই আশীর্বাদ করবেন।’
এছাড়াও এদিন ক্রেজি আইডিয়াজ প্রোডাকশন হাউজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘ধন্যবাদ জানাই ক্রেজি আইডিয়াজ মিডিয়া জী বাংলা এবং আমার দর্শকমন্ডলীর সেই সমস্ত শ্রদ্ধাশীল মানুষ দের যাদের ভরসা এবং বিশ্বাস রেখে আমি শ্রুতি থেকে পাখি হয়ে উঠেছি গত ৩৬২ দিন ধরে (আরও এক সপ্তাহ আপনাদের ঘরে ঘরে রাজ করবো) রাত সাড়ে আট টায়।’ এছাড়াও অভিনেত্রী এদিন ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতলক্ষী স্টুডিকেও।
আরও পড়ুন: পর্দায় নীমের মতোই তেতো পর্ণা-মৌমিতার সম্পর্ক, বাস্তবে কেমন? নিজেই দেখুন ভিডিও
এছাড়াও নিজের কেরিয়ার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শ্রুতি লিখেছেন ‘আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে আমায় ইন্ডাস্ট্রি তে প্রথম কাজ দিয়েছে,স্টুডিওর চারপেয়ে ভাই দের দিয়েছে,আমার জীবনসঙ্গী কে দিয়েছে,অনেক মানুষের সান্যিধ্য দিয়েছে,জীবনবোধ দিয়েছে আরও দেবে।এই স্টুডিও আমায় ঠিক চার বছরের মাথায় আমার তৃতীয় কাজ দিয়েছে,নতুন নতুন জ্ঞানী গুণী মানুষ এর সংস্পর্শে এসেছি,খানিক বন্ধু হয়েছে,আমার রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে,আমার এবং আমার স্বামীর নতুন বাসস্থান হয়েছে।আমি কৃতজ্ঞ সবকিছুর জন্য।’