নিউজ শর্ট ডেস্ক: একঝাঁক বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ভিড়ে প্রতি সপ্তাহেই দর্শকদের বিনোদনের জন্য এসে হাজির হয় সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) জনপ্রিয় গেম শো দাদাগিরি (Dadagiri)। এই দাদাগিরির মঞ্চে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি প্রত্যেকের জীবনেরই ব্যক্তিগত জীবনের নানান অজানা কাহিনী অনুপ্রাণিত করে টিভির ওপারে বসে থাকাঅসংখ্য দর্শকদের।
সম্প্রতি জি বাংলার দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন এই চ্যানেলেরই জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল ‘মন দিতে চাই’-এর (Mon Dite Chai) তারকারা কলাকুশলীরা। এই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা সোমরাজ-তিতির (Somraj-Titir) দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি জুটি। এদিন তারাই মুর্শিদাবাদের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। সেখানেই এদিন উঠে আসে সোমরাজ অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জীর (Writwik Mukherjee) জীবন যুদ্ধের আসল ঘটনা।
যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলীও। ঋত্বিককে অভিনয়ের প্রথম ব্রেক দিয়েছিল জি বাংলা। তবে তাঁর টার্নিং পয়েন্ট ছিল এই চ্যানেলের সুপারহিট বাংলা সিরিয়াল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালের টুকাই বাবুর চরিত্রে অভিনয় করা। সেই থেকে তিনি আজও দর্শকদের কাছে উর্মির টুকাই বাবু নামেই পরিচিত। এদিন নিজের স্ট্রাগলের কথা বলতে গিয়ে ঋত্বিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। পর্দার সোমরাজের কথায় জানা যায় মাকে ঘিরেই তাঁর গোটা জগত।
মায়ের আত্মত্যাগের গল্প বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। তিনি জানান তিনি যখন ক্লাস ফোরে পড়তেন সেই সময় তার বাবা-মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তাকে নিয়ে শুরু হয়েছিল তার মায়ের একার লড়াই। ২৮ বছর বয়স থেকেই মোটামুটি আয় করতে শুরু করেছিলেন নায়ক। তার আগে সংসারের সমস্ত ভার ছিল তাঁর মায়ের ওপরেই।
আরও পড়ুন: ‘অনির্দিষ্ট পথচলা শুরু’! কেক কেটে হাসি মুখে শেষ হল, রাঙা বউয়ের অন্তিম পর্বের শুটিং
এদিন জানা যায় থিয়েটারের নেশায় নাকি ঋত্বিক এক বছর কাজ করেই চাকরি ছেড়ে দিতেন। তারপর জমানো টাকাকে সম্বল করেই থিয়েটার কাজ করতেন। এখানেই শেষ নয়, অভিনেতা এও জানান যে লকডাউনের সময় তিনি পাড়ার মোড়ে সবজি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। তারপর তিনি চোখে পড়ে যান জি বাংলার। সেখান থেকেই তিনি পেয়ে যান একটা বড় সুযোগ।
মায়ের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে ঋত্বিক জানান মা যেগুলো পাননি… দেখেছি মা কোনওদিন ৬০-৭০ টাকার বেশি জুতো কেনেনি। দামী লিপস্টিক ব্যবহার করেনি। কোনও ভালো গ্রুমিং কিট ব্যবহার করেনি। যা যা মা পায়নি, সেই স্বাচ্ছন্দ্যগুলো আমি মা-কে দিতে চাই।’ঋত্বিকের কথা শুনে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার স্বপ্নপূরণ হবে। যার মন এত সুন্দর তার স্বপ্ন তো সফল হবেই’।