নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীতকাল (Winter) পড়তে না পড়তেই হুড়মুড়িয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন সকলে। শহরের ইঁট-পাথরের জঙ্গল থেকে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে সময় কার না ভালো লাগে! কিন্তু যাওয়ার জন্য কোনো ছুতো না লাগলেও ছুটি তো লাগবেই! আর এখানেই যত গন্ডগোল। বছরের শেষ তাই হাতে ছুটিও নেই। তাই ঘুরতে মন চাইলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকের ঘুরতে যাওয়ার ছবি স্ক্রল করতে করতেই সময় কেটে যাচ্ছে।
তবে নো টেনশন! আজ আপনাদের জানাবো কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে এমন এক জায়গা, যেখানে গিয়ে মাত্র ১ দিনের ছুটিতেই একইসাথে ঘুরে আসতে পারবেন পাহাড়-জঙ্গল আর ঝর্ণা। কি ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? তাহলে আপনাকে বলবো একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসুন ধানবাদের (Dhanbad) ভাটিন্ডা ফলস (Bhatinda falls),তোপচাঁচি লেক (Topchanchi lake) এবং উশ্রী ফলস (Ushri falls) থেকে।
ঝাড়খন্ড রাজ্যের বৃহত্তম মহানগর এবং শিল্প শহর এই ধানবাদ অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একেবারে সীমান্তবর্তী এলাকায়। সকাল ৬টা বেজে ৫ মিনিটেই হাওড়া স্টেশন থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপে সকাল সাড়ে ৯ তার মধ্যেই পৌঁছানো যাবে ধানবাদ স্টেশনে।ধানবাদ স্টেশনে নেমে ভাটিণ্ডা ওয়াটার ফলস যাওয়ার জন্য গাড়ি বুক করতে হবে. এরপর সেই গাড়িতে চেপেই সবুজ ঘেরার রাস্তার মধ্যে দিয়েই চলে আসা যাবে ভাটিণ্ডা ওয়াটার ফলস-এ।
তবে এই ওয়াটার ফলস-এ যাওয়ার জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে হবে এই টিকিট এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৫০ টাকা নেওয়া হয়। ধানবাদ স্টেশন থেকে এই ভাটিণ্ডা ওয়াটার ফলস-এর দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। স্টেশন থেকে এই ওয়াটার ফলস যেতে সময় লাগবে ৫০ মিনিটের মত। শীতের সময় এখানে প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসে।এখানে অনেক অস্থায়ী খাবারের দোকানও দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দেখতে টমেটোর মত, পুষ্টিগুণ টমেটোর থেকেও বেশি, এই ফলের উপকারিতা শুনলে অবাক হবেন
ভাটিণ্ডা ওয়াটার ফলস থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে রয়েছে তোপচাঁচি ওয়াটার ড্যাম।এখানে আসার রাস্তাটাও একেবারে ছবির মত সুন্দর। ভিতরে ঢুকতে গেলে ১০০ টাকা দিয়ে গাড়ির টিকিট কাটতে হয়।এখানে অনেকেই শুটিং করতে আসেন। তাছাড়া এখনকার এই বিয়ের সিজনে প্রচুর পরিমাণে প্রি ওয়েডিং শ্যুট হচ্ছে। তবে শুটিং এর জন্য ভিতরে ঢুকতে গেলে দু হাজার টাকা চার্জ নেওয়া হয়।
পরেশনাথ পাহাড়ের সামনেই অবস্থিত এই তোপচাঁচি লেকের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা এই লেকের সামনে রয়েছে একটি সুন্দর হনুমান মন্দির। এই তোপচাঁচিতেই রয়েছে মহানায়ক উত্তম কুমারের বাড়ি। যদিও বাড়িটির মালিক এখন অন্য কেউ। এই তোপচাঁচি থেকেই ঘুরে আসা যাবে উশ্রী ওয়াটারফল থেকে।