নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীত (Winter) পড়তেই ঘুরতে যেতে মন চায় সকলেরই। সামনেই বড়দিন আর তারপরেই আসছেন নতুন বছর। সব মিলিয়ে চারদিকে এখন যেন একটা ছুটির আমেজ। তাই শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখেই সবাই বেরিয়ে পড়ছেন ঘুরতে। আর শীতকাল মানেই পিকনিক (Picnic)। তাই বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একটা দিন হৈ হুল্লোড় করে, খাওয়া দাওয়া আর আড্ডা দিয়েই সুন্দরভাবে কাটাতে পছন্দ করেন অনেকে।
কিন্তু কলকাতা শহরের ইঁট-কাঠ-পাথরের কংক্রিটে ভরা জঙ্গল থেকে দূরে শান্ত নিরিবিলি জায়গা খোঁজেন সকলেই। আজ আপনাদের এমনই এক সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা পিকনিক স্পটের সন্ধান দেবো। যা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে। কলকাতা থেকে ঢিল ছাড়া দূরত্বে অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যুষা পার্কে (Pratyusha Park) গেলে পাবেন ভরপুর বিনোদন।
পিকনিক করার জন্য একেবারে উপযুক্ত এই পার্ক রয়েছে কেশিয়াড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে কুলবনি যাওয়ার পথে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। মেদিনীপুর জেলার বিখ্যাত এই ইকো পার্কে বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের বিনোদনের জন্যেও রয়েছে হরেক রকম ব্যবস্থা। প্রায় পঞ্চাশ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কের মধ্যেই রয়েছে এক বড় জলাশয়। সেখানেই রয়েছে বোটিং এর ব্যবস্থা।
জলাশয়ের কাছেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যাবে রাজহাঁস,টার্কি কিংবা পায়রার মতো পাখিদের। জলাশয়ে পদ্ম ফুল আর মাছ চাষও করা হয়েছে। এই পার্কের মধ্যে দিয়েই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য,সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি। দেখা যাবে ১০০ দিনের কাজের নানা রূপ থেকে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের বিভিন্ন চিত্র।
আরও পড়ুন: টাকা খরচ করে পাব কিংবা ক্যাফে নয়! সঙ্গীর সাথে ডেটে যান শহরের এই ৫ অজানা জায়গায়
চারদিকে সাজানো রয়েছে নানান মরশুমি ফুলের বাগান এবং বাচ্চাদের খেলার জন্য রয়েছে সমস্ত রকমের সরঞ্জাম। এছাড়া পার্কের মধ্যেই রয়েছে কৃত্রিম হাতি হরিণের মতো স্ট্যাচু। এখানকার রঙিন ফোয়ারা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। রয়েছে সেলফি জোনও। তবে প্রত্যুষা পার্ক কিন্তু শুধু ঘুরে দেখার জন্যই নয় এখানে চাইলে পিকনিকও করা যেতে পারে। তার জন্য সমস্তরকম সুব্যবস্থা করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সুন্দর এই পিকনিক স্পটে রয়েছে কয়েকটি খাবার স্টল যদি। কেউ চাইলে এখানে গিয়ে সেরে ফেলতে পারবেন দুপুরের খাওয়া দাওয়া। রয়েছে বিশ্রামের ব্যবস্থা। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে এখানে প্রবেশের জন্য দিতে হয় সামান্য কিছু প্রবেশ মূল্য। নামমাত্র খরচে কোনো এক শীতের দিনে এখানে ঘুরতে গেলেই দূর হবে সমস্ত ক্লান্তি।