নিউজশর্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরে মুক্তি পেতে চলেছে মিঠুন চক্রবর্তীর(Mithun Chakraborty) নতুন সিনেমা ‘কাবুলিওয়ালা'(Kabuliwala)। ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে এই অভিনেতার অবদান যে কতটা তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে বাংলার মহাগুরু তার নতুন ছবি নিয়ে ভীষণ উচ্ছসিত রয়েছেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন যে এই চরিত্রে অভিনয় করার আগে তিনি বেশ দোটানায় ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘কাবুলিওয়ালা’র প্রতি যদি সুবিচার না হয়, সেই বিষয়ে চিন্তা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। এই চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই বলরাজ সাহানি বা ছবি বিশ্বাসের মতো অভিনেতারা একেবারে অমর হয়ে গিয়েছেন। এই ছবিতে কাজ করার প্রসঙ্গে তিনি প্রযোজকের নাম শুনে কাজ করতে রাজি হন। এর পাশাপাশি একটি মাত্র শর্ত রাখেন।
কি সেই শর্ত? এখানে এই চরিত্রের জন্য মিঠুনের অডিশন নিতে হবে এটাই ছিল তার শর্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোট গল্প কাবুলিওয়ালা থেকে একাধিক সিনেমা এর আগেও তৈরি হয়েছে। ১৯৫৭ সালের মুক্তি পেয়েছিল ছবি বিশ্বাস অভিনীত কাবুলিওয়ালা। আবার ১৯৬১ সালে বলরাজ শাহানি অভিনীত ছবিও মুক্তি পায়। বলাই বাহুল্য, এই দুটি ছবি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
আরও পড়ুন: জ্বলে উঠল ফুলকি-গীতা! শেষের পথে দীপার জায়গা, TRP তালিকায় কোথায় জ্যাস-পর্ণারা?
মিঠুন চক্রবর্তী জানান যে তিনি চেয়েছিলেন যে আগের সমস্ত ছবিগুলোর থেকে তার অভিনীত ছবির দৃষ্টিভঙ্গি একদমই আলাদা হোক। তিনি বলেন যে তিনি কাউকে নকল করেননি। এর আগেও কোনদিন সেটা করেননি। ভবিষ্যতেও কখনো করবেন না। তিনি এখনো পুরো সিনেমাটা দেখেননি। কিছু ঝলক দেখেছেন এবং সেই স্মৃতিটাই তার কাছে রয়েছে। এই ছবিতে রহমতের চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। আর মিনির চরিত্রে দেখা যাবে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক শিশুশিল্পী অনুমেঘা কাহালীকে।
জিও স্টুডিওস এবং এসভিএফ এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত এই কাবুলিওয়ালা ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। মিনির মা এবং বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন সোহিনি সরকার ও আবির চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি আমার প্রতিভার জোরে বেঁচে আছি, আমি আমার সততার জোরে টিকে আছি, সেই কারণে আপনারা সাক্ষাৎকার নিতে চান, আমি ভুয়ো বা মিথ্যা কথা বলি না, আমি ওরকম কাজ করি না। আপনারা জানেন যে মিঠুন দা সর্বদা সত্যি কথা বলবেন এবং তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছেন তাঁর প্রতিভার জোরে।’