নিউজশর্ট ডেস্কঃ শীতকাল মানেই মজা, হই হুল্লোড়। এই সময় মানুষ বেড়াতে(Travel) যেতে ভীষণ ভালোবাসেন। এর পাশাপাশি পিকনিক করতেও ভালোবাসেন বহু মানুষ। এই শীতকালে ঠান্ডা মরশুমে বেড়াতে যেতে কার না ভালো লাগে। তবে ধারে কাছে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা বলতে সেই এক দীঘা(Digha) কিংবা মন্দারমনি(Madermoni)। একটু দূরে যেতে গেলে দার্জিলিং কিংবা পুরী।
যদিও এই জায়গাগুলো ছাড়াও আমাদের রাজ্যে আরও বেশ কিছু অফবিট জায়গা রয়েছে যেখানে একবার গেলে বারবার যেতে মন চাইবে। এমনই একটি অফবিট জায়গার সন্ধান নিয়ে আজকে এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব। এই অফবিট জায়গাটির নাম হল গজলডোবা(Gajoldoba)। এখানে হাজার রকমের পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে থাকে। উত্তরবঙ্গের এই অফবিট লোকেশনে পর্যটকদের ভিড় নেই বললেই চলে। তাই একেবারে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে হলে পারফেক্ট জায়গা এই গজলডোবা।
জলপাইগুড়ির মহানন্দা অভয়ারণ্য এবং বৈকুন্ঠপুর সংরক্ষিত এলাকার মাঝখানে তিস্তা নদীর বাঁধ দিয়ে তৈরি একটি বিশাল জলাধার। জলাধারের মধ্যে প্রত্যেক বছর অসংখ্য অজানা পাখি ভিড় করে থাকে। শীতের সময় ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দল এই জলাধারে এসে বাসা বাঁধে। যে পাখি দেখার জন্য বহু পর্যটকেরা এই সময় এখানে ঘুরতে যান।
আরও পড়ুন: এবার জমবে শীতের মজা! শহর থেকে দূরে নিরিবিলি এই পার্কেই পেয়ে যাবেন ভরপুর বিনোদন
এখানে এই সময় গেলে নর্দান শোভেলার, নর্দান পিনটেল, ইউরেশিয়ান উইজিয়ন, কমন টিল একাধিক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন আপনি। এই পাখিগুলো এখানে এসে খেলা করে,খাবার শিকার করে আবার থাকার জন্য বাসাও বাঁধে। এই খেলা দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। এখানে আবার ঠিক এই সময় গেলে পাখি দেখানোর জন্য শিকারা ভাড়া পাওয়া যায়। ঠিক যেমন কাশ্মীরের ডাল লেকে শিকারা চড়ে পাখি দেখতে পারেন পর্যটকেরা এখানেও সেই একই অনুভূতি পাবেন আপনি।
কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জায়গার কোনো অভাব নেই। সরকারি রেস্টহাউস থেকে শুরু করে একাধিক বেসরকারি থাকার জায়গায় এখানে আছে।
কিভাবে আসবেন?
এখানে আসতে হলে আপনাকে কলকাতা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়িতে এসে সেখান থেকে গাড়ি করে সরাসরি গজলডোবা আসা যায়। আবার আপনি চাইলে এনজেপি স্টেশন থেকে শেয়ার করার টোটোতে গোরার মোর নেমে সেখান থেকে ট্রেকার করে চলে আসতে পারেন গজলডোবা।