LPG Biometric Update

LPG Biometric Update: দাঁড়াতে হবে না লাইনে, রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক যাচাই হবে বাড়িতে বসেই

নিউজশর্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রান্নার গ্যাসের(Cooking Gas) গ্রাহকদের আধারের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। মূলত যে সমস্ত গ্রাহকরা ভর্তুকি পান তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য করা হয়েছিল। কিন্তু এই নিয়ম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহক থেকে ডিলার সকলে। আর এবার এই সমস্যা দূর করার জন্য নতুন আরেকটি পন্থা বার করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে।

এবার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার সময় গ্রাহকদের বাড়ি বায়োমেট্রিক(LPG Biometric Update) যাচাইয়ের যন্ত্র নিয়ে যাবেন ডেলিভারি বয়রা। এর ফলে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য গ্রাহকদের আর দীর্ঘক্ষন লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। সুবিধা হবে ডিলার এবং গ্রাহক উভয়ের। দেশের একটি জনপ্রিয় তেল সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন যে এলপিজি ডেলিভারি বয়রা গ্যাস যখন বাড়ি বাড়ি দিতে যাবেন তখন এই বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের যন্ত্র তাদের সঙ্গে রাখবেন।

এই বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পর ভর্তুকি তুলে নেওয়া হবে বা গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে কোন তথ্য নেই। তবে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি পাওয়ার জন্য যে আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র সেটিকেই যাচাই করা হবে। ওই আধিকারিক গ্রাহকদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সকলকে বায়োমেট্রিক যাচাই করে নেবার কথা বলেছেন। দেশের তেল সংস্থাগুলো চলতি বছরের ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যেই এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ শেষ করতে হবে, এমন বলা হয়েছিল।

তবে তেল সংস্থার ওই আধিকারিক জানিয়েছেন গ্রাহকদের এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ শেষ করার কোন সময়সীমা নেই। তবে অবশ্যই এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় সুবিধাভোগীরা যাতে এই সুবিধাটা সঠিকভাবে পান সেটা দেখাই উদ্দেশ্য। কেন্দ্র এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকেরা। তাদের দীর্ঘক্ষণ গ্যাসের দোকানে দাঁড়াতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Ration Card: বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা বন্ধ! এই উপভোক্তারা আর পাবেন না ফ্রিতে রেশন!

আর প্রবীণ যে সমস্ত গ্রাহকদের নামে গ্যাস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। এছাড়া ডিলাররাও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তারা বলছেন যে তেল সংস্থাগুলোর সার্ভারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে চাপ পড়ায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগছে। আর এর ফলে হয়রান হয়ে পড়ছেন গ্রাহকেরা এবং গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ডিলারদের। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বায়োমেট্রিক সংগ্রহের বিষয়েও কিছু সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন বেশ কিছু ডিলাররা।

Gas Burner

তাদের মতে বেশিরভাগ ডেলিভারি বয়রা বায়োমেট্রিক বিষয়টি ভালো মতো জানেন না। সেক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। এর পাশাপাশি তারা এটাও বলছেন যে শহরে অনেক বিক্রেতার মাথাপিছু গ্রাহক সংখ্যার হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার। গ্রামের ক্ষেত্রে সেটি ১০ থেকে ১৫ হাজার। এবার তেল সংস্থা বা সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সচেতনতা বা প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। তাই ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি সত্যি সময়সীমা বেধে দেওয়া হয় তাহলে এই কাজ করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

Papiya Paul

X