নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন আর চাকরির আশায় বসে থাকেন না বহু মানুষ। নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। কারণ ব্যবসা করে খুব সহজে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়। তবে সঠিক ব্যবসা বেছে নিতে না পারলে আবার লাভের বদলে লোকসান হয় বেশি। আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার(Business Idea) সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো যেখানে আপনি ৫ টাকার জিনিস বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ৫০ টাকায়।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন প্রায় দশ গুণ লাভ হবে। যদি এই ব্যবসায় বিরাট অংকের টাকা লাভের আশায় থাকেন তাহলে পাইকারি রেটে জিনিস কিনে এনে শহরে বা গ্রামে সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে পারেন। শুধুমাত্র যে অফলাইনে এই ব্যবসা সম্ভব,এমনটা নয় অনলাইনইও এই প্রোডাক্ট বিক্রি করা যেতে পারে। তার জন্য আপনি ফেসবুক কিংবা অন্যান্য ই-কমার্স অ্যাপ-এর সাহায্য নিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ব্যবসা করে প্রচুর মানুষ প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। ই-কমার্স অ্যাপগুলোতে এখন রেজিস্টার করা খুব সহজ। আপনি বড় বাজার থেকে পাইকারি রেটে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য কিনে নিয়ে আসতে পারেন। এরপর সেগুলো দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি করতে পারবেন। আসলে এই প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস কিংবা ছোট ছোট জিনিস অল্প দামে কিনে এনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
ধরুন আপনি পাইকারি রেটে বাচ্চাদের প্লাস্টিকের টিফিন বক্স, পেন্সিল বক্স এগুলো খুব কম দামে নিয়ে এলেন। এরপর সেগুলো বিভিন্ন দোকানে কিংবা কাস্টমারদের বিক্রি করার সময় আপনি মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। একটা ১০ টাকার টিফিন বক্সকে খুব সহজে ৩০ থেকে ৪০ টাকাও বিক্রি করা যায়। আবার এর পাশাপাশি অনলাইন ই-কমার্স অ্যাপগুলোতে আরো বেশি চড়া দামে আপনি বিক্রি করতে পারেন।
আজকালকার দিনে প্লাস্টিকের ঘর সাজানোর জিনিসের চাহিদা খুব বেশি। প্লাস্টিকের ফুল হোক প্লাস্টিকের ফুলদানি, প্লাস্টিকের শোপিস ইত্যাদি নানা জিনিস দিয়ে মানুষ ঘর সাজাতে ভালোবাসে। তাই এই সমস্ত জিনিসেরকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা বাড়াতে পারেন। অফলাইনে এই ব্যবসা করার জন্য আপনি যেমন বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বিক্রি করতে পারেন ঠিক তেমনি নিজেও একটি দোকান খুলে সেখানেও বিক্রি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Golden Beach: ২০ টাকা খরচে ঘুরে আসুন এই সমুদ্র সৈকতে, পুরো ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীকে
এর পাশাপাশি অনলাইনে যদি আপনি করেন তাহলে প্রথমে বিক্রেতা হিসেবে আপনাকে অনলাইনে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য আপনার একটি GSTIN নম্বর থাকতে হবে। এক্ষেত্রে জিএসটিতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়েও রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে পারেন। খুব কম করে হলেও এই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়।