নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এখন নতুন বাংলা সিরিয়ালের ভিড়। একের পর এক নতুন সিরিয়ালের ধাক্কায় শেষ হয়ে যাচ্ছে একাধিক জনপ্রিয় পুরনো সিরিয়াল। আসলে এখনকার দিনে সব সিরিয়ালের ক্ষেত্রেই শেষ কথা বলে টিআরপি (TRP)। শুরু হতে না হতেই এই টিআরপি তালিকাতেই একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে স্টার জলসার (Sttar Jalsha) একটি ব্র্যান্ড নিউ বাংলা সিরিয়াল গীতা এলএলবি (Geeta LLB)।
এই ধারাবাহিটি টিআরপি তালিকায় প্রত্যেক সপ্তাহেই যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে তা দেখে দর্শকদের অনুমান আগামীদিনে জি বাংলার জ্যাস-পর্ণা সব্বাইকে হারিয়ে এই গীতাই (Geeta) বেঙ্গল টপারের সিংহাসন দখল করবে। ধারাবাহিকে প্রধান নায়ক-নায়িকা স্বস্তিক-গীতার চরিত্রে অভিনয় করছেন কুণাল শীল এবং হিয়া মুখার্জী (Hiya Mukherjee)।
টেলিপাড়ার এই নতুন জুটি ইতি মধ্যেই দারুন ভালোবাসা পাচ্ছেন দর্শকদের। প্রসঙ্গত বাংলা সিরিয়ালের এই দুঁদে উকিল গীতাই LLB চরিত্রটি যেন সাক্ষাৎ কোন বলিউড সিনেমা থেকে ধার করে আনা চরিত্র। ধারাবাহিকে এই গীতার হাত এবং মুখ দুটোই খুব ভালো চলে। কিন্তু বাস্তবে অভিনেত্রী হিয়া একেবারে উল্টো। কলকাতার বাসিন্দা মাত্র ২০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বাস্তব জীবনে স্বভাবে খুবই শান্ত শিষ্ট। বাস্তব জীবনে অভিনয় ছাড়া হিয়া খেতে এবং গান শুনতে খুব পছন্দ করেন।
অভিনেত্রী হিয়ার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিংয়ের হাত ধরে। তবে অভিনয় জগতে তাঁর প্রথম হাতেখড়ি হয়েছিল ‘নয়নতারা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। যদিও ইতিমধ্যেই ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় উকিল অভিনয় করে ফেলেছেন কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘প্রাঙ্কেস্টাইন’ নামের একটি ওয়েব সিরিজেও। যদিও এত কিছুর পরেও, এত জনপ্রিয়তা এবং সাফল্যের পরেও পর্দার গীতার রয়েছে একটি দারুণ আফসোস।
আরও পড়ুন: তোমার থেকে পর্ণা আমাকে বেশি ভালোবাসে! কৃষ্ণাকে এবার ধুয়ে দিল ‘বাবুউউ’ নিজেই
সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন অভিনয় জগতে আসায় প্রথমে তাতে মত ছিল না তাঁর বাবার। কারণ অভিনেত্রীর কথায় জানা যায়, তার দাদু ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী আর তাঁর বাবা নিজে একজন গবেষক। তাই স্বাভাবিকভাবেই তিনি চেয়েছিলেন তার মেয়েও পড়াশোনাটাই ভালো করে নিজের কেরিয়ার গড়ে তুলুক।
কিন্তু বাবার সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারেননি হিয়া। তাই সেই আফসোসটা আজও রয়ে গিয়েছে পর্দার গীতার। তবে এদিন অভিনেত্রী জানান প্রথম দিকে তার বাবার তার অভিনয় নিয়ে আপত্তি থাকলেও এখন নিজের মেয়ের সাফল্য দেখে তিনি বেজায় খুশি। তবে শুরুর দিকে বাবার সমর্থন না পেলেও তাঁর পাশে প্রথম থেকেই ছিলেন তাঁর মা।