নিউজ শর্ট ডেস্ক: আমাদের ভারতবর্ষের মতো দেশের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে টাকা আয় করা তো বটেই পাশাপাশি তা সঞ্চয় করাও মোটেই সহজ কথা নয়! বিশেষ করে এখনকার দিনে টাকা আয় করার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা (Money) সঞ্চয় করা (Savings)। তার জন্য প্রত্যেক মাসেই অল্প অল্প করে টাকা জমানো শুরু করা উচিত।
সে ক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে সংসারের খরচের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। আসুন জানা যাক সেই সূত্র অনুসারে কিভাবে ৫০,০০০ টাকা কিংবা তার কমের বেতনভুক কর্মচারীরা সহজে ভবিষ্যতের (Future) জন্য মোটা টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক একটু একটু করে টাকা সঞ্চয় করে সহজে ধনী হওয়ার সহজ পদ্ধতি।
মাসে ২০ হাজার টাকা রোজগার হলে কীভাবে খরচ করবেন?
যাদের মাসিক বেতন ২০ হাজার, তারা বেতন পেয়েই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা করে রাখুন। অন্য অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করা টাকার কথা ভুলে যান, তা কখনওই স্পর্শ করবেন না। সত্যিই টাকা জমাতে চাইলে প্রথমে বেতনের মাত্র ১০ শতাংশ সঞ্চয় করুন। সোজা কথায় প্রথম ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে হবে৷
বেতন ৫০ হাজার টাকা হলে কত টাকা বাঁচাতে হবে
যাদের বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা তাদের প্রতি মাসে বেতনের প্রায় ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। তার জন্য প্রতি মাসেই যে করেই হোক ১৫,০০০ টাকা বাঁচাতে হবে।তা না হলে কেউই বিনিয়োগের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৯ টাকায় রিচার্জ প্ল্যান! বছর শেষে Jio, Vi-কে জবরদস্ত টক্কর Airtel-র
প্রাথমিকভাবে ১০ শতাংশ সঞ্চয়
শুরুতে বেতনের ১০ শতাংশ দিয়ে সঞ্চয় শুরু করুন। যতদিন না ৩০ শতাংশ হরে মাসিক সঞ্চয় হচ্ছে ততদিন প্রত্যেক ৬ মাস অন্তর এই সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রথমদিকে সমস্যা হবে ঠিকই কিন্তু ৬ মাসের মধ্যেই পরিবর্তন হবে অভ্যাস। সবার আগে খরচের তালিকা তৈরি করুন।
তার জন্য সবার প্রথমে অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন:
১ বাইরে খাওয়ার অভ্যাস মাসে ৪ বারের বদলে ২ বার করুন।
২ প্রতি মাসে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের একটি লিস্ট বানান।
৩ প্রত্যেকেই নিজের বেতনের ১০ শতাংশ অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করেন।
৪ অনলাইন যুগে বুঝে শুনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন।
৫ একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে অবিলম্বে কয়েকটি বন্ধ করুন।
৬ এছাড়াও অনলাইন শপিং থেকে দূরে থাকুন।
৭ কেনাকাটা করার আগে আগে একটি লিস্ট বানান।
৮ মেইন পেয়েই অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। এইভাবেই প্রতিমাসে বেতনের ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা যাবে।
সঞ্চয় সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করুন
১ মাসে যাদের ৫০ হাজার টাকা আয় তারা বার্ষিক ১.৮০ লাখ টাকা বাঁচাতে পারবেন।
২ মাসে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় করলে তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা জরুরি তহবিল হিসাবে রাখুন।
৩ একটি মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা SIP করতে পারেন।
৪ আর বাকি ৫ হাজার টাকা রেকারিং ডিপোজিট বা গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।
৫ পরে মেইন বাড়লে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন।
৬ এই ফর্মুলা মেনে ১০ বছর ধরে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করতে পারলে ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না।