নিউজ শর্ট ডেস্ক: বছর শেষে ঘূর্ণাবর্তের হুংকারে শহর থেকে পালিয়েছে শীত (Winter)। বাংলাদেশে তৈরি এই ঘূর্ণাবর্ত আর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ডবল ডোজে ভরা পৌষেও উধাও শীতের স্পেল। দেখতে দেখতে ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়ে ইতিমধ্যেই এসে পড়েছে নতুন বছর (New Year)। এই নতুন বছরর অর্থাৎ ২০২৪ সালের সকালেও পাত্তা নেই শীতের।
ঘূর্ণাবর্তের কারণে জলীয় বাষ্পেরপরিমাণ বাড়তে থাকায় কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নয়, বছরের শুরুটা হল বেশ উষ্ণ ভাবেই। একদিকে রাজধানী দিল্লিতে কোল্ড ওয়েভের সতর্কতা জারি করা হয়েছে অন্যদিকে তখনই বছরের শুরুতেই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি উপরেই।
তবে আশার কথা এই যে রবিবারের থেকে তাপমাত্রা সামান্য হলেও কমেছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস বলছে, বছরের প্রথম দিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও, তাতে ফারাক খুব একটা বেশি ছিল না। একদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আর একদিকে বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া ঘূর্ণাবর্তের ডবল ডোজে আটকে পড়েছে উত্তুরে হাওয়া।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর পূবালী হওয়ার সাথেই বাংলাদেশ থেকে হু হু করে ঢুকছে জলীয় বাষ্প। তাই ভোরবেলায় কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকলেও বেলা গড়াতেই গায়েব শীতের আমেজ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আবহাওয়ার এমন গতিপ্রকৃতি চলবে আরও ২ দিন।তাই এই ২ দিন শহরের তাপমাত্রার পরিবর্তন হওয়ার কোনো আশা নেই।
আরও পড়ুন: বেড়িয়ে আসুন পাহাড় ঘেরা শাল-পলাশের জঙ্গলে! ২ দিনেই দূর হবে ক্লান্তি
তবে বঙ্গে শীত আবার কামব্যাক করতে পারে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে। সব ঠিক থাকলে বুধবার থেকেই ফের নিম্নমুখী হবে শীতের রাতের তাপমাত্রা। তাই শীতের আমেজ ফায়ার পেতে আপাতত নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় জবুজবু পর্যটকরা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী নতুন বছরের শুরুতে সান্দাকফু-সহ দার্জিলিঙের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে।