নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীতকাল (Winter) মানেই ঘুরতে যাওয়ার মরসুম। এই সময়ে কিছুতেই যেন মন বসে না চার দেওয়ালে বন্দি ঘরে। কিন্তু ঘুরতে যেতে চাইলেই তো আর যাওয়া যায় না,কর্মব্যস্ত জীবনে এখন বড়ই অভাব ছুটির। তাই এই একঘেয়ে জীবন থেকে সাময়িক বিরতি পেতে সকলেই শহর থেকে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান।
তাই হাতে খুব কম সময় নিয়েই শহর থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে ঘুরে আসতে পারেন লাল মাটির দেশ পুরুলিয়া (Purulia) থেকে। শাল,পিয়াল,পলাশের জঙ্গল আর পাহাড়ের নিস্তব্ধতাই এক নিমেষে দূর করে দিতে পারে মনের সমস্ত ক্লান্তি ।এই লাল মাটির দেশেই রয়েছে একটি ছোট্ট গ্রাম হল বড়ন্তি (Baranti)। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে সারা বছরই বহু পর্যটকরা ছুটে আসেন দূর দূরান্ত থেকে। এমনিতে পুরুলিয়া মানেই নৈসর্গের সৌন্দর্যের মোড়া।
বিশেষ করে এই ছোট্ট গ্রামটিকে যেন নিজের হাতে ঢেলে সাজিয়েছেন ঈশ্বর। ছবির মত সুন্দর এই গ্রামের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এখানে একবার গেলেই নিমেষের মধ্যে মন ভালো হয়ে যায় যে কোন পর্যটকদের। উইকন্ডে দুদিনের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বড়ন্তি একেবারে পারফেক্ট। লাল মাটির দেশ পুরুলিয়ার এই ছোট্ট গ্রামেই রয়েছে ছোট ছোট টিলায় ঘেরা, মুরাডি তথা বড়ন্তি জলাশয়।
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় এই বড়ন্তি জলাশয়ের পাশে সময় কাটাতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু পর্যটক । বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময় এই জলাশয়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়।সারা বছরই এখানে মানুষের আনাগোনা থাকলেও শীতের মরসুমে এখানে পর্যটকদের সংখ্যা একটু বেশিই থাকে।
নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ এই গ্রামের লাল মাটির পথ ধরে হাঁটলেই নজরে আসবে স্থানীয় মানুষদের সাদামাটা জীবনযাত্রা । বড়ন্তি গ্রামের কাছেই রয়েছে বড়ন্তি লেক। এটি মুরাডি লেক নামেও পরিচিত। এখানে বহু পাখি, প্রজাপতি ভিড় করেসারাক্ষণ। এছাড়াও এই জায়গাটি মাছ ধরা এবং বোটিং এর জন্য একেবারে আদর্শ।
এছাড়া যারা অ্যাডভেঞ্চার প্রেমি মানুষ তাদের জন্য বড়ন্তিকে একেবারে কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের বন্দোবস্ত। তাছাড়াও ট্রেকিংয়ের স্বাদও পাবেন এখানে গেলে। বরন্তি পাহাড়ে অবস্থিত হলেও বড়ন্তি গ্রামটা পাহাড়ের খুব উঁচুতে নয়। তাই কেউ চাইলে হেঁটে উঠতে পারবেন সেখানে।