নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ভ্রমণ পিপাসুদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোন মরসুম লাগে না। তাই কর্ম ব্যস্ত জীবন ছুটি মিলতেই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েন পছন্দের গন্তব্যস্থলে। ইঁট-কাঠ-পাথরে ঘেরা কংক্রিটের জঙ্গল থেকে ক্ষণিকের জন্য বেরোতে পারলেই মেজাজ হয়ে যায় ফুরফুরে। নিমেষে দূর হয়ে যায় মনের সব ক্লান্তি।
তাই ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে! কাশ্মীরথেকে কন্যাকুমারী আসমুদ্র হিমাচল গোটা ভারতবর্ষে দর্শনীয় স্থান গুনে শেষ করা যাবে না। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ভারতবর্ষের প্রতিটি কোণায় কোণায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপের ডালি মেলে ধরেছে। কোথাও পাহাড়,কোথাও সমুদ্র আবার কোথাও ঘন জঙ্গল।
তবে পাহাড় প্রেমী হোক কিংবা সমুদ্র পাগল অথবা যাদের পছন্দ অরণ্যের হাতছানি কমবেশি সকলেরই কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার বাকেট লিস্টে একটা নাম মোটামুটি কমন। তা হল রাজস্থান। মরু শহর রাজস্থানের (Rajasthan) সৌন্দর্য চোখের সামনে দেখলে তা থেকে চোখ ফেরানো দায়! নাম মরু শহর হলেও এখানকার সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না!
আর রাজস্থান মানেই এখানকার অন্যতম মূল আকর্ষণ হল উট (Camel)। উটের পিঠে চড়তেও পছন্দ করেন পর্যটকরা। কিন্তু রাজস্থান ভ্রমণের জন্য শুধু মোটা অংকের টাকা নয়, প্রয়োজন হয় লম্বা ছুটির-ও। তাই অনেকেই রাজস্থান যাবো যাবো করেও যেতে পারছেন না। কিন্তু নো টেনশন। এবার সবার রাজস্থান ভ্রমণের সাধ পূরণ করার জন্য এসে গিয়েছে একটি দারুণ সুযোগ।
আরও পড়ুন: পাহাড়-নদী-ঝর্ণা সবকিছুই একসাথে, এই অজানা পাহাড়ি লোকেশনের কাছে ডাহা ফেল দার্জিলিং
তাই আর মরু শহর রাজস্থান নয়, বাংলার শিল্প শহরে বসেই পাওয়া যাবে রাজস্থানের স্বাদ। সাধ মিটবে উটের পিঠে চড়ারও। সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি পার্কের তরফ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন বছরেই দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের ওই পার্কে আনা হয়েছে রাজস্থানী উট এবং সাদা ঘোড়া। পার্কে আসা সমস্ত পর্যটকরাই এই উটের পিঠে চড়ার সুযোগ পাবেন। তবে নির্দিষ্ট টিকিটের ভিত্তিতেই এই উটের পিঠে চড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। যা শহরবাসীর কাছে এখন নতুন আকর্ষণ।