নিউজশর্ট ডেস্কঃ হাড়কাঁপানি এই শীতে বহু মানুষ কোথাও ঘুরতে না গিয়ে ঘরে থেকেই ছুটির দিনগুলো কাটিয়ে ফেলছেন। ঠিক তেমনি এমন অনেক পর্যটক আছেন যারা এই ঠান্ডাকে সঙ্গে নিয়েই এদিক-সেদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন। দূরে কোথাও ঘুরতে না গেলেও কাছাকাছি ঘুরতে(Travel) যাওয়ার ইচ্ছে অনেকের মধ্যেই থাকে। যেখানে কম খরচে এবং কম সময়ে পৌঁছানো যায়। আজকে রাম মন্দির(Ram Mandir) উদ্বোধনের এই শুভ সময়ে আপনাদেরকে একটি জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র সম্পর্কে জানাবো।
যেখানে সামনের ছুটিতে দু-একদিনের সময় নিয়ে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতার কাছে রয়েছে এই শিবতীর্থ। অনেকেই এই তীর্থক্ষেত্র সম্পর্কে জানেন না। এই তীর্থক্ষেত্রের নাম পঞ্চলিঙ্গেশ্বর(Panchalingeshwar Temple)। উড়িষ্যার কাছেই রয়েছে এই পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির। নীলগিরি পর্বতমালার ওপরেই এই শিব মন্দিরের অবস্থান রয়েছে। এই মন্দিরে উঠতে হলে আপনাকে আড়াইশো সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। ভক্তরা কষ্ট করে এই সিঁড়ি বেয়ে উঠে ভগবান শিবের দর্শন পাওয়ার পর সব কষ্ট ভুলে যান।
এই মন্দিরে এসে অসম্ভব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। এই পাহাড় থেকেই মন্দিরের পেছন দিয়ে একটি নদী নেমে এসেছে। বর্ষাকালে এই নদীর সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। এই মন্দিরের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মনমুগ্ধকর যে আপনি কিছুক্ষণের জন্য একেবারে হারিয়ে যাবেন। তবে এখানে কিন্তু কোন মন্দির সেভাবে নেই। উন্মুক্ত প্রান্তরে এই শিবলিঙ্গের অবস্থান।
এখানে পাঁচটি কুন্ডু রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এই শিবলিঙ্গগুলি। যেগুলো কুন্ডের জলে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। এখানে পুজো দেওয়ার জন্য সব রকমের বন্দোবস্ত আছে। এখন জল কম থাকার জন্য ভালো করে পুজো দেওয়া যায়। কিন্তু বর্ষাকালে জল বেশি থাকায় শিবলিঙ্গ স্পর্শ করা যায় না। এই পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের আশেপাশেই রয়েছে দেবকুন্ডু। তার পাশেই রয়েছে আবার অম্বিকা মাতার মন্দির। আপনারা চাইলে সেখানেও দর্শন করতে পারেন। এখানে ও পুজো দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
অম্বিকা মাতার মন্দির থেকে কিছুটা দূরে গেলে সুরজ কুন্ডু এবং উষা কুন্ডু। সেখানে পৌঁছতে হলে একটু ট্রেক করে তারপর পাহাড়ের ওপরে উঠতে হবে। তবে এই জায়গাতে যাওয়ার জন্য গাইড নিয়ে যাওয়া ভালো। এর কারণ হলো একেবারে জঙ্গলের পথ। তাই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি বন্য জীবজন্তুর উপদ্রব আছে. তাই গাইডে নিয়ে গেলে সেই সমস্ত সমস্যাতে পড়তে হবে না। এবার সামনের ছুটিতে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন এই পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির থেকে।