নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালিদের কাছে ভ্রমণের এক অন্যতম ডেস্টিনেশন হলো দার্জিলিং(Darjeeling)। আর শীতকালের দার্জিলিং-এ ঘুরতে যাবার সুযোগ থাকলে তো সোনায় সোহাগা। তুষারপাত, বরফ, হাড়কাঁপানো শীত সবকিছুকে একসাথে মিলিয়ে দুর্দান্ত ছুটি কেটে যায় এই সময়। তবে শুধুমাত্র ভ্রমণ নয়, দার্জিলিংয়ে গিয়ে কব্জি ডুবিয়ে নানারকমের খাবার খাওয়া যায়।
বিশেষ করে ব্রেকফাস্ট আর স্ন্যাকসের জন্য এখানে এত রকমের ইউরোপিয়ান খাবার রয়েছে যেগুলো ঠান্ডায় বসে কাঁপতে কাঁপতে খাওয়ার সময় আপনার লন্ডনের কথা মনে পড়ে যাবে। আর এই রকমের সুস্বাদু খাবারের জন্য দার্জিলিঙে দুটি রেস্তোরাঁয় সব সময় ভিড় থাকে পর্যটকদের। এই দুটি রেস্তোরা হলো গ্লেনারিজ(Glenary’s) আর কেভেন্টার্স(Keventers)।
১) গ্লেনারিজ: দার্জিলিং-এর এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং কিংবদন্তি রেস্তোরা হলো এই গ্লেনারিজ। এখানের পরিবেশই আপনার মন মুগ্ধ করে দেবে। ইউরোপিয়ান খাবারের পাশাপাশি এখানে আরও অনেক ধরনের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এই রেস্তোরাঁর ভেতরে বসে খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই পেছনের দিকে পাহাড়মুখী বারান্দায় বসে সিজলার আর গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে চান।
আরও পড়ুন: Darjeeling: একগাদা টাকা খরচ নয়, এবার মাত্র ১০০ টাকায় থাকতে পারবেন দার্জিলিংয়ে!
ওখানে গেলে কি কি খাবেন তার বেশ কিছু আইটেম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানো যাক।
এখানে গেলে কেক, পেস্টির সঙ্গেই এক কাপ স্পেশাল চা খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়া এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার হলো চিকেন সিজলার, প্ল্যাটার। এছাড়া রাইস এবং নুডুলস দিয়েও নানা রকমের খাবার পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি রয়েছে ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন পকোড়া, চিজবল, পনির পকোড়া, বেকন, ক্রিসপি ফ্রাইড পকোড়া, স্লাইসড চিকেন, সুইট সাওয়ার পর্ক, চিলি ফিশ, ফিশ মাঞ্চুরিয়ান, সুইট অ্য়ান্ড সাওয়ার ফিশ, চিকেন চিলি, ফিশ চিলি ইত্যাদি সহ আরো অনেক খাবার। যা বলে শেষ করা যাবে না।
২) কেভেন্টার্স:
দার্জিলিংয়ের আরো এক জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ হলো কেভেন্টার্স। গ্লেনারিজের মত একই রকমের খাবার এখানেও পাওয়া যায়। তবে দুটো খাবারের স্বাদ একেবারেই আলাদা। স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তার ফেলুদাকে কেভেন্টাসের হট চকোলেটের ভক্ত করে দিয়েছিলেন। এখানে এলে ইংলিশ ব্রেকফাস্ট যদি না খান তাহলে আপনার দার্জিলিং ঘোরা ব্যর্থ হয়ে যাবে। এই রেস্তোরাঁ রুফটপে বসে গরম গরম খাবার এবং এক কাপ কফি কিংবা চা অর্ডার দিয়ে বহুক্ষন সময় কাটানো যায়। এবার যখন দার্জিলিঙে যাবেন এই দুই জায়গায় অবশ্যই ঘুরে আসবেন। এর পাশাপাশি নানা রকমের খাবারের স্বাদ নিয়ে নেবেন না হলে আপনার দার্জিলিং ঘোরা সম্পূর্ণ হবে না।