নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাহাড় হোক কিংবা সমুদ্র, ঘুরতে(Travel) যাওয়ার সুযোগ পেলে এক্কেবারে রেডি হয়ে পড়েন বাঙালিরা। এক কথায় বলতে গেলে বাঙালিদের পায়ের তলায় সর্ষে। তবে এখন বাঙালিরা শুধুমাত্র দীপুদা অর্থাৎ দীঘা-পুরী-দার্জিলিং ঘুরেই ক্ষান্ত হন না। এখন অফবিট লোকেশনের(Offbeat Location) সন্ধান করেন তারা। ইন্টারনেটের দৌলতে এখন খুব সহজেই অফবিট জায়গার সন্ধানও পাওয়া যায়। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য দুটি অচেনা-অজানা সমুদ্র সৈকতের সন্ধান নিয়ে চলে এসেছি আমরা। চলুন তাহলে ভালোকরে পুরো তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১) গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকত(Gobardhanpur Sea Beach)- দীঘাকে ভুলে যাবেন এই সমুদ্র সৈকতের হাতছানি পেলে। এই সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা এবং ১০ কিলোমিটার চওড়া। ২০০০ সালের পর থেকেই এই সমুদ্রের বুক থেকে রাশি রাশি বালি এসে জমা হয়ে বেলাভূমিতে পরিণত হয়েছে।এখানে গেলে দেখতে পারবেন চারিদিকে ঝাউবন। এখানে দূষণের মাত্রা অনেক কম। যেহেতু পর্যটকেরা খুব একটা এখানে ঘুরতে আসে না তাই দূষণ এখনো সেভাবে স্পর্শ করেনি। একেবারে কোলাহলবিহীন এই সমুদ্র তটে একবার ঘুরতে গেলে আর ফিরে আসতে চাইবেন না আপনি। এর অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
কিভাবে যাবেন? এখানে আসতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কাকদ্বীপ স্টেশনে এসে পৌঁছাতে হবে। কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে বাসে করে পাথরপ্রতিমা। এরপর সেখান থেকে জলপথে জি প্লটের চাঁদমারি ঘাট পৌঁছাতে হবে। চাঁদমারি ঘাট থেকে সোজা পৌঁছে যাবেন গোবর্ধনপুর সী বিচ। তাহলে আর দেরি না করে বর্ষবরণের উৎসবকে অন্যরকমভাবে সেলিব্রেট করতে পৌঁছেছেন গোবর্ধনপুর সি-বিচে।
২) খেজুরি সমুদ্র সৈকত(Khejuri Sea Beach): পর্যটকদের কাছে একটি নতুন ডেস্টিনেশন হিসাবে এই জায়গার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। দু-একদিনের জন্য ঘুরে আসার জন্য এই জায়গাটি একেবারেই উপযুক্ত। নির্জন সমুদ্র সৈকতের মুগ্ধতার পাশাপাশি উপরি পাওনা হিসেবে পেয়ে যাবেন ইতিহাসের নানান কাহিনী। এমনই সুন্দর জায়গা হল পূর্ব মেদিনীপুরের এই নতুন ডেস্টিনেশন। দীঘা, মন্দারমনি, শংকরপুর এই জায়গাগুলোর ভিড় এড়িয়ে ঘুরে আসতে পারেন খেজুরি থেকে।
কিভাবে আসবেন?
কলকাতা থেকে খেজুরির দূরত্ব ছিল মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। কলকাতায় বা হাওড়া থেকে বাসে করে এখানে আসা যায়। দীঘা- হাওড়া রেল লাইনে, লোকাল ট্রেনে হেঁড়িয়া স্টেশনে নেমে বাস ধরে খেজুরী আসা যায়। এখানে থাকার জন্য একাধিক বেসরকারি লজ এবং হোটেল রয়েছে। নিজের পরিবারের সঙ্গে কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্তে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান এবং সঙ্গে সমুদ্রকে চান তাহলে এই জায়গায় অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন।