নিউজ শর্ট ডেস্ক: কোটিপতি হতে কে না চায়! কিন্তু এখনকার এই মূল্যবৃদ্ধির যুগে ভারতীয়দের জন্য কোটিপতি হওয়া একেবারেই মুখের কথা নয়। তবে উপার্জিত অর্থ প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ সঞ্চয় করে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের পর অনেকেই কোটিপতি হতে পারেন খুব সহজেই। আসলে বিনিয়োগকারীই কম টাকা বিনিয়োগ (Investment) করে বেশি টাকা রিটার্ন (Return) পেতে চান। তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না কোথায় টাকা জমানো উচিত?
তাই বহু বছর আগেই ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের কথা ভেবেই সরকারের তরফে চালু করা হয়েছিল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF। পোস্ট অফিসের এই সরকারি স্কিম যেমন নিরাপদ তেমনি মেয়াদ শেষে হাতে আসে মোটা টাকার রিটার্ন। তাই কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই পিপিএফ-এ টাকা জমিয়ে কোটিপতি হতে পারেন যেকেউ। এই কারণেই সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হল পিপিএফ।
পিপিএফ-এর মাধ্যমে কোটিপতি হতে গেলে ১৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা করে জমাতে হবে। এইভাবে নিয়মিত টাকা জমালে মেয়াদ পূর্তির পর হাতে আসবে মোট ৪০.৬৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক হিসাবে রোজ ৪১৭ টাকা জমালে ১৫ বছরে মোট গচ্ছিত অর্থ হবে ২২.৫ লাখ টাকা। ৭.১% হারে ওই টাকার ওপর বার্ষিক সুদ থেকে ১৫ বছরে মোট আয় হবে ১৮.১৮ লক্ষ টাকা।
এরপর আর মাত্র দুই বার পাঁচ বছর করে অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেই মোট টাকার পরিমাণ এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অল্প বয়স থেকে টাকা বিনিয়োগ করা শুরু করলে বেশি টাকা পাওয়া যায়। কেউ যদি ২৫ বছর বয়স থেকে এই সঞ্চয় শুরু করেন, তাহলে ৫০ বছর বয়সে তার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা থাকা মোট টাকার পরিমাণ হবে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করবে! সস্তায় পাবেন দুর্দান্ত ফিচার সম্পন্ন বেশি মাইলেজের এই বাইক
PPF- এ চক্রবৃদ্ধিতে সুদ পাওয়া যায়। তবে এই স্কিমের সবথেকে বড় সুবিধা হল আয়কর আইনের ধারা ৮০ সি অনুযায়ী কর ছাড় পাওয়া যায়। এই স্কিমে দেড় লক্ষ পর্যন্ত টাকা বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে। PPF- এ প্রাপ্ত সুদের ওপরেও কর ছাড় পাওয়া যায়।
তবে এখানে বলে রাখি পোস্ট অফিসের এই PPF স্কিমে অবশ্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের নামে এই অ্যাকাউন্ট খোলা গেলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্টটি তাদের অভিভাবকরা পরিচালনা করবেন। এছাড়া কোনও অনাবাসী ভারতীয় কিন্তু এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।