নিউজ শর্ট ডেস্ক: পোস্ট অফিস (Post Office) রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit) থেকে ১০ বছরে কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়? পোস্ট অফিসে পাঁচ বছরের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে যার নাম পোস্ট অফিস আরডি অ্যাকাউন্ট। পাঁচ বছরের এই আরডি প্রকল্পটি বর্তমানে বার্ষিক ৬.৭% সুদ দিচ্ছে যা থেকে ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়া যায়।
এই প্রকল্পের প্রতি মাসে ন্যূনতম ১০০ টাকাও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে এই স্কিমে বিনিয়োগের কোন সর্বোচ্চ সীমা নেই। নির্দিষ্ট সময় পেরোতেই মানে ৫ বছর পর মেয়াদ শেষ হলে আবেদন করে এই একাউন্টের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানো যেতে পারে। তবে এই সময় কেউ চাইলে টাকা বিনিয়োগ নাও করতে পারেন।
এই সময় কেউ টাকা বিনিয়োগ করবেন কি করবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে যদি কারও আর্থিক উপার্জন ভালো হয়ে থাকে এবং প্রত্যেক মাসে বেশি টাকা সঞ্চয় করতে পারেন তাহলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি মাত্র দশ বছরেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। দশ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা করে জমাতে পারলে ১০ বছর পর অ্যাকাউন্টে মোট ১.০২ কোটি টাকা জমা হবে।
এক্ষেত্রে এই ১.০২ কোটি টাকার তহবিলে মোট বিনিয়োগের পরিমান হবে ৭২ লক্ষ টাকা আর সুদের হার থেকে আয় হবে ৩০.৫১ লক্ষ টাকা। এখানে বলে রাখি যদি রেকারিং ডিপোজিটের অ্যাকাউন্ট কোনও মাসের ১৫ তারিখের আগে খোলা হয়, সেক্ষেত্রে এই ডিপোজিট ১৫তারিখ পর্যন্ত করা যেতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি অ্যাকাউন্টটি মাসের ১৬ থেকে শেষ তারিখের মধ্যে শুরু করেন, সেক্ষেত্রে মাসের শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত ডিপোজিট করা যাবে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন বাংলার সবচেয়ে বড় গোলাপ বাগানে, দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে
রেকারিং ডিপোজিটের টাকা জমানোর নিয়ম
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ডিপোজিট না করলে টাকা কেটে নেওয়া হয়। যে মাসে টাকা দেওয়া হবে না, তার জন্য ডিফল্ট চার্জ হিসাবে এক থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত এ চার্জ করা হয়।
রেকারিং ডিপোজিটে মাসিক ডিফল্ট থাকলে ডিফল্ট ফি-সহ ওই মাসগুলির টাকা দিতে হবে। এই নিয়ম মানলে তবেই চলতি মাসের টাকা ডিপোজিট করা যাবে।
তবে চার মাস পরপর টাকা না দেওয়া হলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। চতুর্থ মাস থেকে আগামী দুই মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্ট চালু না করলে ওই অ্যাকাউন্টে আর কোনও টাকা জমা করা যাবে না। এরফলে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ-ও হয়ে যাবে।