নিউজ শর্ট ডেস্ক: সকাল বিকাল সন্ধ্যার রাত গোটা দিনটাই এখন মানুষের জীবন বন্দি মুঠোফোনে (Mobile)। আট থেকে আশি মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না কারও। সব বয়সীদের মধ্যেই এখন ধীরে ধীরে গ্রাহকের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে এই স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা। তবে এরইমধ্যে যদি কারও নতুন ফোন কেনার ইচ্ছা থাকে তাহলে তা জুনের আগেই কেনা উচিত।
কারণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ২০২৪ সালের জুন থেকেই ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে স্মার্টফোনের দাম। একাধিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে জুন থেকেই স্মার্টফোনের দাম ১০-১৫ শতাংশ বাড়তে পারে (High Price)। তবে বাজেটের আগেই মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের উপর থেকে শুল্কের বোঝা কমিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রশ্ন হল জুনেই কেন স্মার্টফোনের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা হচ্ছে?
কারণ এই সময় মেমোরি চিপের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন যে সরকার স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশের উপর সাম্প্রতিক শুল্ক হ্রাস করে দাম কমাতেও পারে। তাছাড়া স্মার্টফোন নির্মাতারা নতুন স্মার্টফোনে মেমোরি কনফিগারেশন কমিয়ে-ও খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর ডিআরএএম (মেমোরি চিপ)-এর দাম বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলি স্মার্ট ফোনের দাম বাড়াতে পারে।
পাশাপাশি চিপ উৎপাদনকারী সংস্থা স্যামসাং এবং মাইক্রোন মার্চ থেকে মোবাইল ফোনের দাম ১৫-২০ শতাংশ বাড়াতে চায়।এখানে বলে রাখি ডিআরএএম-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণেও দাম বাড়তে পারে। ইদানিং নতুন চিপসেটে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চাহিদা বাড়ছে। অন্য দিকে, এলপিডিডিআর ৫(এক্স) সরবরাহে-ও সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী তিন মাসের মধ্যেই যার প্রভাব পড়বে বাজারে। চিনা মুদ্রা শক্তিশালী হওয়ার কারণেই এসব ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাস গেলে কড়কড়ে ১০০০ টাকার নোট! ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে বিরাট ঘোষণা রাজ্যের
প্রতিবেশী দেশ চীন থেকেই ভারতে স্মার্টফোনে যন্ত্রাংশ-সহ অনেক কিছুই আমদানি করা হয়। তবে ভবিষ্যতে এর খরচ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাড়তে পারে ফোনের দামও। কারণ এই মুহূর্তে অধিকাংশ মোবাইল কোম্পানির কাছেই বর্তমানে যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। কিন্তু এর পর যখন কোম্পানি আবার ফোন তৈরি করবে তখন আবার যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হবে। তখন বাধ্য হয়েই সেটা বেশি দামেই আমদানি করতে হবে। তাই আগামী তিন মাসের মধ্যেই ফোনের দাম বাড়তে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।