নিউজশর্ট ডেস্ক: ভারতের(India) লাইফলাইন(Lifeline) বলা হয় ভারতীয় রেলকে(Indian Railway)। ভারতীয় রেল নিজেদের সাফল্যের কারণে বিশ্বখ্যাত। অত্যাধুনিক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল এই প্রতিষ্ঠানটি। যদিও ভারতে রেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ব্রিটিশরা। ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লে এরপর ভারতীয়রাই এগিয়ে নিয়ে যায় এই প্রতিষ্ঠানকে। আর আজ সারাবিশ্বে ভারতীয় রেল অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
দেশের সাধারন মানুষের কথা ভেবে এখানে অনেক জনহিতকর কাজ করে রেল। নিয়মও পরিবর্তন হয় সেই হিসেবে। ভারতীয় রেলের উদার মানসিকতার দেখা পাওয়া যায়, যখন করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শ্রমিকদের নিজের বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে চালানো হয় বিশেষ ট্রেন। রেলওয়ের সেইরকমই এক বিস্ময়কর তথ্য নিয়ে আজ হাজির হয়েছি আমরা।
দেশে বিশেষ কিছু ট্রেন চালানো হয় যা নিয়ে আপনি হয়তো আগে কিছুই জানতেন না। দেশের চারটি ট্রেনকে একসাথে করে শেষনাগ নামে চালানো হয় দীর্ঘতম ট্রেন। এছাড়া অ্যানাকোন্ডা নামে একটি ট্রেন চালানো হয়েছিল যা কিনা তিনটি ট্রেনকে একসাথে করে। কিন্তু এই দুটি ট্রেন কেও পিছনে ফেলে আরেকটি ট্রেন, যার নাম বাসুকি(Vasuki)। এটিই আপাতত ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন হওয়ার রেকর্ড গড়েছে।
আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম নিলেই মিলবে ৬২ লাখ টাকা! এই দেশের অফার চমকে দেবে
২৯৫ টি কোচ সহ পণ্যবাহী ট্রেন এই বাসুকি। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩.৫ কিমি লম্বা! বৃহৎ এই ট্রেনকে চালানোর জন্য রয়েছে ৫ টি লোকোমোটিভ। ট্রেনটি রায়পুর রেলওয়ে বিভাগের ভিলাই থেকে বিলাসপুর রেলওয়ে বিভাগের কোরবা পর্যন্ত চলে। তবে শুধু ভারতেরই নয়, বাসুকিকে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন বলে মনে করা হয়।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, এই ট্রেনটিকে চালানোর জন্য পৃথক ট্রেন রুট তৈরি করেছে রেল। আসলে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদী বুঝতে পারেন যে, দেশে পণ্য পরিবহনকে আরো উন্নত করতে হলে তার জন্য আলাদা করে একটি ট্রেন রুট তৈরি করতে হবে। এইজন্য মালবাহী করিডোরের উদ্বোধন করেন তিনি। আর এই রুটেই চলে বিশেষ এই ট্রেনটি।