নিউজশর্ট ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসের আগমন মানেই জীবনে যেন বসন্তের ছোঁয়া। এই সময় নিজেদের মন খুশি থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশেও অনেক বেশি সৌন্দর্যতা লক্ষ্য করা যায়। এই সময় গাছে গাছে পলাশ, শিমুল ফুল ফুটে ওঠে। আর এই বসন্তের আগমনে নতুন কোন লোকেশনে ঘুরতে(Travel) যাওয়ার ইচ্ছে সকলের মধ্যেই থাকে। আর বাঙালিরা তো বরাবরই ভ্রমণপ্রিয় একটুও সুযোগ পেলেই হল ব্যাগ পত্র গুছিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
আপনিও যদি এই সময়ে একটি আনকোরা লোকেশনের খোঁজ করে থাকেন। তাহলে বেরিয়ে আসতে পারেন এই জঙ্গল থেকে। তবে আগেই বলে রাখি এই জঙ্গল ডুয়ার্সে নয়। এটি আছে বাংলার পাশের রাজ্য উড়িষ্যাতে। এই জায়গার নাম হল মংলাজরী ভেটনাই।
এই জায়গাতে একদিকে রয়েছে জলাশয়। আর তার চারপাশে ঘিরে রয়েছে জঙ্গল। এই জঙ্গলে যাবার জন্য ছোট ছোট নৌকায় করে পর্যটকদের এই জলাশয় পেরিয়ে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি নৌকায় চারজন পর্যটক বসতে পারেন। সঙ্গে থাকেন গাইড, নাহলে এই ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। এখানে নৌকা করে ঘুরতে দু’ঘণ্টার জন্য ১২০০ টাকা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শুধু তাম্রলিপ্ত আর কান্ডারী নয়, এবার রাতের ট্রেনে ফাঁকায় ফাঁকায় পৌঁছে যান দীঘা!
এই সময় এই লোকেশানে ঘুরতে গেলে আপনি অনেক পাখির আনাগোনাও দেখতে পাবেন। দেশি-বিদেশি প্রচুর পাখি এই সময়ে জলাশয়ের আশেপাশে দেখা যায়। আপনি চাইলে নৌকায় বসে মাছ শিকার ও করতে পারেন। এই মংলাজরি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে ভেটনাই জঙ্গল। দু’ঘণ্টার মধ্যে এই জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায়। এখানে গেলে কৃষ্ণসার হরিণ প্রচুর সংখ্যায় দেখতে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি পূর্বঘাট পর্বতমালার পাদদেশে রয়েছে এই জঙ্গল। এই জঙ্গলের চারপাশে এই হরিণগুলো ঘুরে বেড়ায়। যদিও তারা কারোর কোন ক্ষতি করেনা। এই সুন্দর লোকেশন খুব সহজেই আপনার মন জয় করে নেবে।
কিভাবে যাবেন? এখানে যেতে হলে প্রথমে হাওড়া থেকে ট্রেন ধরতে হবে। এরপর ট্রেনে পৌঁছাতে হবে বালুগাঁও। সেখান থেকে গাড়ি করে যেতে হবে, মংলাজরি। আপনি চাইলে অটো করে ও পৌঁছে যেতে পারেন। এখানে থাকার জন্য ওড়িশা বনদপ্তরে ব্যবস্থা রয়েছে।তবে আসার আগে অবশ্যই বুকিং করে আসতে হবে।