নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার এই ডিজিটাল পেমেন্টের এই জামানায় টাকা পয়সা লেনদেন যেমন অনেক সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে প্রতারকদের জালিয়াতি। বিশেষ করে এখনকার দিনে শপিং মল, পেট্রোল পাম্প কিংবা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের জন্য কিউআর কোড স্ক্যান (QR Code Scan) করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আর এই কিউআর কোডের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। আজকাল এই কিউআর কোডেই পাতা থাকছে আসল ফাঁদ। যা পরিচিত ‘কুইশিং’ () নামে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এই ‘কুইশিং’ শব্দটার সাথে পরিচিত নন।
আসলে এখনকার দিনে সমস্ত গ্রাহকদের মধ্যেই অনলাইন পেমেন্টের প্রবণতা বাড়ছে। আর এই অনলাইন পেমেন্টের সময় অনেকেই কিউআর কোড স্ক্যান করেন। কিন্তু এই কিউ আর কোডের মাধ্যমেই প্রতারকরা গ্রাহকদের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ব্যাংকিং সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। এইভাবে কিউআর কোডের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া কিংবা ম্যালওয়্যার ডাউনলোডের মাধ্যমে প্রতারণাকেই ‘কুইশিং’ (Quishing) বলা হচ্ছে। যা এক ধরনের ফিশিং স্ক্যাম। আসলে কিউআর কোড এবং ফিশিং এই দুটো শব্দকে একসাথে জুড়েই নাম দেওয়া হয়েছে কুইশিং।
কুইশিং-এ স্ক্যামাররা ফেক কিউআর কোড তৈরি করে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, বা অন্যান্য সংবেদনশীল ডেটা চুরি করার চেষ্টা করে। যা ফিশিং নামে পরিচিত। হুবহু আসল কিউআর কোড-এর মতো দেখতে কিউআর কোড তৈরী করে প্রতারকরা তা স্টিকার বা পোস্টারের উপর লাগায়।জানলে অবাক হবেন পার্কিং মিটার বা পেট্রোল পাম্পের কিউআর কোডের উপরেও ইদানিং কুইশিং-এর ঘটনা ঘটছে। এই নকল কিউআর কোড দেখতে অবিকল আসলের মতোই।
যা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা পেমেন্ট পোর্টালের সাথেই লিঙ্ক করা থাকে। অনেকসময় বিভিন্ন ডিসকাউন্ট কিংবা পুরস্কারের লোভ দেখিয়েও গ্রাহক টানা হয়।আর একবার এই ফেক কোড স্ক্যান করার ফাঁদে পা দিলেই গ্রাহকরা পড়বেন প্রতারকদের খপ্পড়ে। প্রতারকদের তৈরি সেই ওয়েবসাইটে ব্যাঙ্ক ডিটেইলস, লগ ইন তথ্য দিলেই সব চলে যাবে স্ক্যামারদের হাতে। যার ফলে ব্যক্তিগত বিবরণ বা আর্থিক তথ্য সবটাই নিমেষে হবে হাতছাড়া। শুধু তাই নয়, ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যার-ও।
আরও পড়ুন: নোটের ওপর পেনের কালি থাকলেই বাতিল! RBI-এর নতুন নিয়ম জানলে পড়বেন ফ্যাসাদে
আসলে ফেক কিউআর স্ক্যান করলেই ডিভাইসে ভাইরাস ঢুকে যায়। তখন গ্রাহকের ফোনের সমস্ত তথ্য চলে যাবে স্ক্যামারদের জিম্মায়। তাই কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাই যখনই স্ক্যান করার দরকার পড়বে, তার আগে কিউআর কোড রিডার অ্যাপ ব্যবহার করাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখে নিতে পারলে। এখানে বলে রাখি আসল কিউআর কোড কিন্তু স্পষ্টভাবে ছাপা থাকে। কিন্তু ফেক কিউআর কোড ঝাপসা, মিসলাইনড থাকে।