নিউজ শর্ট ডেস্ক: রাজধানী দিল্লির (Delhi) আগ্রা শহরে মুঘল সম্রাট শাহজাহান (Shah Jahan) নির্মিত তাজমহল (Tajmahal) একটি আন্তর্জাতিক মানের ঐতিহ্যবাহী সমাধি ক্ষেত্র। বছর বছর যা দেখতে ব্যাপক জনসমাগম হয় পর্যটকদের। ১৭ শতকে শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মৃতি সৌধটি নির্মাণ করিয়েছিলেন।
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই তাজমহল ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশেষ স্বীকৃতিও পেয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত এই সমাধি ক্ষেত্রটি তৈরি করতে প্রায় ২২ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। এই ধবধবে সাদা তাজমহলের সৌন্দর্য দর্শন করতে প্রত্যেক দিন দেশ বিদেশের বহু পর্যটক আসেন।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না শাহজাহানের তৈরি এই বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল আসলে একজন হিন্দু রাজার জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। আসুন জানা যাক কে সেই হিন্দু রাজা?ভারতের প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ অনুসারে তাজমহলের এই জমি আসলে রাজস্থানের আমের কচ্ছওয়াহদের সম্পত্তি।
জানা যায় প্রিয় বেগম মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাজমহল বানানোর জন্যই কচ্ছওয়াহদের কাছ থেকে এই জমি কিনে নিয়ে ছিলেন শাহজাহান। এই জমির বিনিময়ে মুঘল সম্রাট শাহজাহানও উপহার স্বরূপ কচ্ছওয়াহদের বাসিন্দাদের ৪ টি রাজপ্রাসাদ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় স্কুল, কি নাম? কোথায় আছে এই স্কুল? উত্তর চমকে দেবে
যদিও তাজমহল বানানোর জন্য জমির ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে চারটি রাজপ্রাসাদ দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। কথিত আছে সেই সময় তাজমহল তৈরিতে প্রায় ৩.২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। জানলে অবাক হবেন এই বিশ্ব বিখ্যাত তাজমহল তৈরিতে ২৮ টি বিভিন্ন ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে তাজমহল তৈরি করতে কম করে কুড়ি হাজার জনেরও বেশি জন শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করেছিলেন। তবে জানলে অবাক হবেন মুঘল সম্রাটের তৈরি এই বিশ্ব বিখ্যাত স্মৃতি সৌধ আজ গোটা বিশ্বের কাছে তাজমহল নামে পরিচিত হলেও একটা সময় এর নাম ছিল ‘রোজা-ই-মুনাভরা’ যার অর্থ অনন্য প্রতিষ্ঠান। যদিও পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল তাজমহল।