নিউজশর্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম এবং জনপ্রিয় স্মৃতিসৌধ তাজমহল(Tajmahal) এবং লালকেল্লা(Red Fort)। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই জায়গায় ঘুরতে আসেন। ইতিহাসের পাতায় তাজমহল এবং লালকেল্লা ঘিরে নানা রকমের কাহিনী রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন এই তাজমহল এবং লালকেল্লার মালিক কে? আজকের এই প্রতিবেদনে এই দুই স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে অজানা তথ্য আপনাদেরকে জানাবো।
লালকেল্লার নির্মাণ কাজ ১৬৩৯ সালের ১২ মে শুরু হয়েছিল। শাহজাহান শুরুতে এটির নির্মাণকার্য শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তার ছেলে দারাশিকহোকে এটি হস্তান্তর করেন। আর তাজমহল সম্পর্কে বলতে গেলে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয় স্ত্রী মমতাজের সমাধি হিসেবে ১৬৩২ সালে এটি তৈরি করেছিলেন। এটির সৌন্দর্যের ওপর বিচার করে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য জিনিসের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে তাজমহল। এবার প্রশ্ন হল এই দুটো সৌধের মালিকানা বর্তমানে কার কাছে আছে?
প্রকৃতপক্ষে মুঘলরা যখন এই দেশ শাসন করেছিলেন তখন এই দুটি জায়গার মালিকানা তাদের বংশধরের কাছে ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে আসে এবং সবকিছু তাদের অধীনেই চলে যায়। এরপর যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে তখন ভারত সরকার ২৮২৬ টি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী স্থানকে সংরক্ষিত বিভাগে রেখে দেয়। এর মধ্যেই লালকেল্লা এবং তাজমহল ছিল। এর ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ অর্থাৎ ASI এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Taj Mahal: শাহজাহান কোন হিন্দু রাজার জমিতে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন? উত্তর চমকে দেবে
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ এবং ৫১ এ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সংরক্ষণকে জাতীয় কর্তব্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মানে হলো আপনি কোনভাবেই এই জিনিসগুলোর ক্ষতি করতে পারবেন না। তবে এর বাইরেও অনেকে এই জায়গা গুলোর মালিকানার অধিকার নিয়ে দাবি তুলেছেন।
ঠিক যেমন কিছুদিন আগেই জয়পুর রাজ পরিবারের রাজকুমারী দিয়া কুমারী দাবি করেছিলেন যে তাজমহল তার পূর্বপুরুষদের প্রাসাদ আর লালকেল্লা সম্পর্কে শেষ মুঘল সম্রাট শাহজাফরের প্রপৌতি সুলতানা বেগম দাবি করেছিলেন যে লালকেল্লা তাদের সম্পত্তি। এই নিয়ে হাইকোর্টেও আবেদন করা হয়েছিল। তবে সমস্ত কিছুই এখন ভারত সরকারের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।