নিউজ শর্ট ডেস্ক: অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তা সঞ্চয় করাও অত্যন্ত জরুরি। আর অর্থ বিনিয়োগ করার কথা উঠলে প্রথমেই সবাই বেছে নেন ব্যাংক (Bank) কিংবা পোস্ট অফিসের (Post Office) বিভিন্ন স্কিমগুলিকে (Scheme)। আর অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এমনই একটি জনপ্রিয় স্কিম হলো ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit)।
এই স্কিমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা বিনিয়োগ করলে ম্যাচিউরিটির সময় মোটা টাকার সুদ পাওয়া যায়। তবে এই স্কিমে বিনিয়োগের বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
স্থির সুদের হার
নামের মতোই ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে সুদের হার-ও ফিক্সড থাকে। যা কখনই বৃদ্ধি পায় না। এই স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে পরিমাণে সুদ পাবেন, টাকা ম্যাচিউরিটির সময়ও তিনি সেই একই পরিমাণ সুদ পাবেন।
কম রিটার্ন
আগেই বলেছি এই স্কিমে নির্দিষ্ট হারেই সুদ পাওয়া যায়। তাই FD স্কিমে টাকা রাখলে শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বেশি টাকা রিটার্ন পাওয়া যায় না।
লক ইন পিরিয়ড
এই স্কিমে একটি নির্দিষ্ট লক ইন পিরিয়ডের জন্য টাকা জমা রাখতে হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ করলেই তা লক হয়ে যায়। এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতেও এই টাকা আর তোলা যায় না।
জরিমানা ব্যবস্থা
টাকা ম্যাচিউর হওয়ার আগে লকইন পিরিয়ডের মধ্যেই এই স্কিমের টাকা তুলতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের উপর জরিমানা চাপায়।
আরও পড়ুন: বড় ঝটকা দিল Airtel! এক ধাক্কায় ৪০ টাকা বাড়ল রিচার্জ প্ল্যানের দাম
করব্যবস্থা
ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত সুদের ওপর কর ধার্য করা হয়। আয়কর আইনের অন্যান্য উৎস থেকে আয় বিভাগের উপর ভিত্তি করেই এই স্কিমের প্রাপ্ত সুদের ওপর টিডিএস কাটা হয়।
ব্যাংকের দেউলিয়া অবস্থা
কোনো কারণবশত ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলেও তার প্রভাব গিয়ে পড়ে গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের উপর। এরফলে গ্রাহকের অর্থ সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুদ্রাস্ফীতির হার
আর্থিক বিনিয়োগ থেকে পাওয়া রিটার্ন সব সময় মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি হয়। কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে নিয়ম একেবারে উল্টো।