নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indain Railways) আমাদের দেশের বৃহত্তম গণপরিবহন ব্যবস্থা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ভারতের প্রতিটি প্রান্তে শিরা ধমনীর মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক। যদিও ভারতীয় রেলের সূচনা হয়েছিল পরাধীন ভারতে ইংরেজদের হাত ধরেই।
লর্ড ডালহৌসিকে ভারতীয় রেলের পিতা বলা হয় বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ইতিহাস বলছে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল ইংরেজদের হাত ধরেই ভারতে প্রথম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সূত্রপাত ঘটে। ভারতে প্রথম ট্রেন চলেছিল মুম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত। যদিও এখনও দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক বিস্তারের কাজ ।
তাই বিগত এই কয়েক দশকে ভারতীয় রেলে এসেছে আমুল পরিবর্তন। বদলে গিয়েছে ভারতীয় রেলের খোল নলচে। বর্তমানে ভারতীয় রেল পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। কাছে হোক কিংবা দূরে দেশের যে কোন প্রান্তে সফরের জন্য ভারতীয়রা চোখ বুজে ভরসা করে থাকেন দেশের এই বৃহত্তম গণ পরিবহন ব্যবস্থার উপর।
আসলে কম খরচে দ্রুত যেকোনো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় রেলের চেয়ে ভরসাযোগ্য পরিবহন মাধ্যম আমাদের দেশে আর দুটো নেই। তাই দূরপাল্লার ট্রেন হোক কিংবা লোকাল ট্রেন দেশের যেকোনো প্রান্তে সফরের জন্য ভারতীয় রেলই আদর্শ পরিবহন মাধ্যম।
আরও পড়ুন: চালু হল নতুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে উপকৃত রাজ্যবাসী
প্রসঙ্গত ভারতীয় রেল মানেই, নানান অজানা তথ্যের ভান্ডার। অনেকেই হয়তো জানেন না বর্তমানে ভারতীয় রেলের মোট ১৮ টি জোন রয়েছে। সেই ১৮ টি জোনের মধ্যে মোট ট্রেন রয়েছে ২২, ৫৯৩টি৷ উল্লেখ্য অসমের গুয়াহাটি ও মলিগাঁওয়েই রয়েছে ভারতের নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টইয়ার রেলওয়ের প্রধান দফতর ৷
কিন্তু জানলে অবাক হবেন আমাদের দেশে রেল পরিষেবা এত উন্নত হওয়া সত্বেও এমন একটি রাজ্য আছে যেখানে এখনও পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক। সেই রাজ্যটি হল সিকিম (Sikim)। তবে এবার একটি যূগান্তকারী কাজ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। যার ফলে এবার রেল পরিষেবা চালু হতে চলেছে গ্যাংটকেও ৷
ইতিমধ্যেই সেই কাজ এগিয়েছে অনেকদূর৷ যদিও এখনও পর্যন্ত সরাসরি গ্যাংটক যাওয়ার জন্য কোনো ডাইরেক্ট ট্রেন চালু না থাকায়নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমেই বাকি রাস্তা গাড়িতে যেতে হয় পর্যটকদের৷