নিউজ শর্ট ডেস্ক: সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় গতি এনেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তবে একথা ঠিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় রেলের খোলনলচে বদলে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় রেলকে আমাদের দেশের লাইফ লাইন বলা হয়। ভারতীয় রেল আমাদের দেশের এমন একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা যার সাহায্যে খুবই কম সময়ে, কম খরচে, দ্রুত যে-কোনো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়।
তবে শুধু যাত্রীবাহী ট্রেনই নয় ভারতে চলে একাধিক মালবাহী ট্রেন-ও। প্রযুক্তির হাত ধরেই এখন ভারতীয় রেলের গতি টক্কর দিচ্ছে বিমান পরিষেবাকেও। ভারতের দ্রুত গতির এই ট্রেনের তালিকায় খুব তাড়াতাড়ি সংযোজন হতে চলেছে বুলেট ট্রেন। যদিও বুলেট ট্রেন চালুর আগে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে ভারতের সেমি হাই স্পিডের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
বর্তমানে ভারতের যাত্রীবাহী সুপারফাস্ট ক্যাটাগরির ট্রেনের গড় গতি ঘন্টায় ৯০ কিংবা ১১০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৩০ কিলোমিটার করা হয়েছে। তবে জানলে অবাক হবেন ভারতে এমন একটি ট্রেন রয়েছে যার গতি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার। আজ আপনাদের জানাবো রাজধানী দিল্লির নতুন দিল্লি (New Delhi) স্টেশন থেকে বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের (Mumbai) মধ্যে সফর কারী দুরন্ত গতির ট্রেন সম্পর্কে।
দেশের সেমী হাই স্পিড এই ট্রেনটির নাম হল ‘তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস’ (Tejas Rajdhani Express)। এই ট্রেনটি নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার সাথেই যেন হাওয়ার গতিতে ছুটতে শুরু করে দেয়। এই ট্রেনটি দিল্লি থেকে মুম্বাই পর্যন্ত এই দীর্ঘ সফরকালে মাত্র ছ’টি স্টপেজ দিয়ে থাকে। এই ট্রেনটি নতুন দিল্লি স্টেশন থেকে বিকেল ৪ টে বেজে ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪৬৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সোজা গিয়ে থামে রাজস্থানের কোটা স্টেশনে। এই স্টেশনে ট্রেনটি মাত্র ১০ মিনিটের জন্য থামে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে লাগেজ হারালে কোথায় গেলে ফেরত পাবেন? এই ফোন নম্বরটি জানা থাকলে কাজে লাগবে
তাই বোঝাই যাচ্ছে এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি এমনি এমনিই গতির জন্য জনপ্রিয় নয়। এখানে বলে রাখি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই ট্রেনের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায়। তাই যে স্টেশনে ট্রেনটি স্টপেজ দেয় না, সেখানেও যদি কোন ভাবে ট্রেন থেমেও যায় তাহলেও ট্রেনের দরজা খোলে না। বলা হয় দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির মধ্যে এই ট্রেনটি অন্যতম।
দিল্লি এবং মুম্বাই’র মধ্যে যাতায়াত আরও বেশি সহজ এবং দ্রুত করার জন্যই এই তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছিল। দীর্ঘ সফরে দিল্লি মুম্বাই তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস, নতুন দিল্লি থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর, শুধুমাত্র কোটা, নাগদা, রতলাম, ভাদোদরা, সুরাত এবং বোরিভালি মোট ৬টি স্টেশনে থামে।