নিউজ শর্ট ডেস্ক: সদ্য গিয়েছে রং এর উৎসব। এই হোলিতেই (Holi) রং খেলাকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন গোটা দেশবাসী। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা এই রঙের উৎসবে আনন্দে এতটাই মশগুল হয়ে ওঠেন যে বেমালুম ভুলে যান পকেটে থাকা টাকা (Money) কিংবা মোবাইলের কথা। যার ফলে,পরে দেখা যায় অসাবধান বশতই পকেটে থাকা নোটের উপরেও লেগে গিয়েছে রং।
পরে এই সমস্ত রঙিন নোটই (Coloured Note) দোকান-বাজারে চালাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান সাধারণ মানুষ। তাই গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই এই রঙিন নোট নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India)। তবে একথা ভুললে চলবে না এই রঙিন নোট নিয়ে তৈরী হওয়া সমস্যার যেমন সমাধান আছে, তেমনি নোট পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখাও কিন্তু জনগণের নৈতিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
তাই ভুল করেও নোটে রং লাগানো কিংবা নোট বিকৃত করা উচিত নয় একেবারেই। এই কারণেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৯৮৮ সালে “ক্লিন নোট পলিসি” লাগু করেছিল। RBI– র ১৯৩৪-এর আইনের ২৭ ধারা অনুসারে, কোনো ভারতীয় নাগরিকই কোনো ভাবেই ভারতীয় নোটগুলিকে বিকৃত করতে পারবেন না।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল যদি ভুলবশত কোনো কারণে নোট রঙিন হয়ে যায় তাহলে কি করণীয়? RBI-র নিয়ম বলছে যদি কোনো নোট রঙিন হয়ে যায় বা ছিঁড়ে যায়, তাহলে তারও সমাধান রয়েছে। এই ধরণের নোটগুলি যে কোনো ব্যাঙ্কে গিয়ে পাল্টে ফেলা যাবে। RBI-র নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কে পুরনো, ছেঁড়া, মুড়ে থাকা, রঙিন নোট বদলানো যায়।
আরও পড়ুন: আইনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার উপায় নেই আর! জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রি নিয়ে জারি হল নতুন নির্দেশিকা
তবে জানা জরুরি এর জন্য এক টাকাও খরচ হয় না। এই কাজের জন্য ব্যাঙ্ক কোনো ফি নেয় না। শুধু তাই নয় এই ধরনের নোট অদল-বদলের জন্য সেই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকাও আবশ্যক নয়।
নোট বদলানোর পর কত টাকা পাওয়া যায়?
RBI-র নিয়ম অনুযায়ী ব্যাঙ্কে নোট বদল করার পর সেই নোটের অবস্থা বিচার করে তবেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, ২,০০০ টাকার নোটের আকার ৮৮ বর্গ সেমি হলে, পুরো টাকাটাই পাওয়া যায়। কিন্তু যদি এই আকার ৪৪ বর্গ সেমি হয়, তাহলে অর্ধেক টাকাফেরত দেওয়া হয়।