নিউজ শর্ট ডেস্ক: অধিকাংশ বাইকপ্রেমীদের কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম হল রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)। এই বাইকের মূলত দুটি বিভাগ রয়েছে।যার মধ্যে একটি ৩৫০ সিসি রেঞ্জের তো অন্য বিভাগটি আধুনিক বাইক ৬৫০ সিরিজের। এবার বাইকপ্রেমীদের নতুন চমক দিতেই এই দুটি সিরিজের বাইকের ফিচারগুলির সুবিধা সহ কোম্পানির পক্ষ থেকে লঞ্চ করা হচ্ছে বুলেট ৬৫০ (Bullet 650)। ইতিমধ্যে ইউরোপে এই রয়্যাল এনফিল্ড বাইকটির পরীক্ষা করতেও দেখা গিয়েছে। আসুন দেখা যাক এই বহু প্রতীক্ষিত বাইকটির সম্ভাব্য ফিচারগুলি (Possible Features)-
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৬৫০ -এর সম্ভাব্য ফিচার
আগেই বলেছি ইউরোপে ইতিমধ্যেই রয়্যাল এনফিল্ডের পক্ষ থেকে এই বাইকটির অন রোড পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই এর বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই এই বুলেট ৬৫০ বাইকটির সম্ভাব্য ফিচার সম্পর্কেও একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। কোম্পানির তরফে এই বুলেটটির ডিজাইনও খুবই সাধারণ রাখা হয়েছে।
তবে জানা যাচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ডের এই নতুন বাইকটি আসলে আগের ৩৫০ সিসি সংস্করণটির ডিজাইনের অনুকরণেই তৈরি করা হয়েছে। এই বাইকটিতে একটি রাউন্ড হেডলাইট, হেডলাইটের দু’পাশে পাইলট ল্যাম্প, পুরানো হেডল্যাম্পের কেসিং, একটি সিঙ্গল পিস সিট এবং ট্র্যাডিশনাল সাইড বক্সের মতো একগুচ্ছ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এখানেই শেষ নয় এই বাইকটিতেও ৩৫০ সিসি ভার্সনের বাইকের মতো একই ধরনের ফ্রন্ট মডগার্ড মাউন্ট ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া টেল লাইট ও সিট ডিজাইনের ক্ষেত্রেও তেমন কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, এক্ষেত্রে বসার জন্য বিশেষ স্প্লিট সিটের সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও ফুট পেগের অবস্থান থাকবে চালকের ঠিক নিচে। তাই সবমিলিয়ে এই নতুন বাইকের বসার ফিচারটি যে কোনো চালকের জন্যই আরামদায়ক সিটিং হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: এবার থাকুন টেনশন ফ্রি, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ব্যাপক সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক!
ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে এই বাইকে রয়েছে কভার সহ ট্র্যাডিশনাল ফর্ক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস,এছাড়াও উভয় প্রান্তে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক, ডুয়েল রিয়ার শক, স্পোক হুইল এবং টুইন পিশুটার এক্সজস্ট-র মতো আরও একাধিক সুবিধা।
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৬৫০ সিসির সম্ভাব্য ইঞ্জিন
এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও মনে করা হচ্ছে, এই রাজকীয় বাইকটিতে সম্ভবত ৬৫০ সিসি রেঞ্জে রয়্যাল এনফিল্ডের অন্যান্য বাইকগুলিতে যে ইঞ্জিনটি রয়েছে, সেটাই দেওয়া হবে। উদাহরণ হিসাবে ইন্টারসেপ্টর, কন্টিনেন্টাল জিটি, সুপার মেটিওর এবং শটগানের কথা বলা করা যেতে পারে।
বাইকপ্রেমীরা জানলে খুশী হবেন এই বাইকটিতে সম্ভবত একটি ৬৪৮ সিসি এয়ার কুলড ইনলাইন টুইন ইঞ্জিন থাকতে চলেছে। যা ৪৬ bhp শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। জানা যাচ্ছে এই ইঞ্জিনটিকে একটি ৬ স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যার ফলে এই বাইকটির মধ্যেই ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটতে চলেছে।