নিউজশর্ট ডেস্কঃ বেশিরভাগ মানুষই এখন অনলাইন লেনদেনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। বর্তমানে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চলে আসার পর এই অনলাইনে লেনদেন আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে এখনো অনেক মানুষই চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন। বিশেষত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে চেকের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তবে এই চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারণ একটু যদি ভুল হয় তাহলে জরিমানার সাথে জেল পর্যন্ত হতে পারে। ব্যবসায়িক হোক বা অন্য কোন লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক লেখার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আর তা না হলে সামান্য ভুলেও আপনার চেক বাতিল বা বাউন্স(Check Bounce) যেতে পারে। আর এই চেক বাউন্স হলেই আপনার একাউন্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা কেটে নেওয়া হয়।
কি কি কারণে চেক বাউন্স হয়?
১) অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকা বা যত টাকার চেক লেখা হয়েছে তার থেকে কম টাকা থাকার জন্য চেক বাউন্স হয়ে থাকে।
২) চেকে করা গ্রাহকের সই বা স্বাক্ষর না মিললে চেক বাউন্স হয়।
৩) এছাড়া ওভাররাইট বা চেকের উপর জড়িয়ে লেখা অথবা বারবার লিখলে সেটি বাতিল হতে পারে।
৪) অ্যাকাউন্ট নম্বর যদি ভুল লেখা হয় তাহলে চেক বাউন্স হতে পারে।
৫) এছাড়াও প্রতিটি চেকের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যাঙ্কে টাকা জমা করলে তা বাউন্স হতে পারে।
চেক বাউন্স হলে কি কি শাস্তি হয়?
এক্ষেত্রে ১৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে এই জরিমানার ব্যাপারটি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এছাড়া অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে যদি চেক বাউন্স হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে যিনি চেকটি দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা যায়। তাই প্রথমে আইনজীবির একটি নোটিশ পাঠাতে হয়। আর ১৫ দিনের মধ্যে সেই নোটিসের উত্তর না দিলে থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হয়। এরপরে পুলিশের তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।