নিউজ শর্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে টাকার অংকের পরিমাণ। ইতিমধ্যেই এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে সেই বর্ধিত ধনরাশি ঢুকতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই অনেকের অ্যাকাউন্টেই সরাসরি জমা হয়েছে লক্ষী ভান্ডারের টাকা। কিন্তু এখনও যদি কেউ এই লক্ষী ভান্ডারের টাকা না পেয়ে থাকেন তাহলে তা অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে যদি এই বিশেষ ব্যাংকে কারও অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্টে কিন্তু রাজ্য সরকার কোন টাকা পাঠাতে পারবে না।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের বাজেট পেশ করার সময় লক্ষী ভান্ডারের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। টাকা বাড়ানোর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন ১ এপ্রিল থেকেই লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকার পরিমাণ বাড়বে। এই প্রকল্পের অধীনে এতদিন যারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন তারা এই মাস থেকে ১০০০ টাকা পাবেন আর যারা ১০০০ টাকা করে পেতেন তারা এই মাসে পাচ্ছেন ১২০০ টাকা করে।
কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে এই নির্দিষ্ট ব্যাংকে যদি কারো অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে তারা এই বর্ধিত টাকা তো দূরের কথা এপ্রিল মাস থেকে কোনো টাকাই পাবেন না। এ প্রসঙ্গে আর বি আই-এর তরফে জানানো হয়েছে, কিন্তু কেন আরে তরফে জানানো হয়েছে
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে রোজগার ১১০০০, কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে ইনকামের সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার
পেটিএম ক্রমাগত নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে। তাই এবার এই পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে আরবিআই। এই কারণেই ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের ৩৫A-এর অধীনে, চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা কোনও ক্রেডিট, লেনদেন, ফাস্ট ট্যাগ ব্যবহার করতে পারছেন না।
এমনকি ১৫ মার্চের পর থেকে কোনও সরকারি স্কলারশিপ কিংবা ভাতার টাকাও এই অ্যাকাউন্টে দিতে পারছে না সরকার। আর এই কারণেই আমাদের রাজ্য সরকারের-ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাদিতে পারবে না এই ব্যাঙ্কে। তাই যত দ্রুত সম্ভব টাকা পেতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি Paytm ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ওয়ালেট ব্যবহার করেন তাহলে এখন তা আর কাজ করবে না। ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ওয়ালেট বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও ক্রেডিট নেওয়া যাবে না।
কিন্তু কেউ যদি পেটিএম অ্যাকাউন্টকে গুগল পে কিংবা ফোন পের মতো করে ব্যবহার করেন অর্থাৎ যদি তার Paytm অ্যাকাউন্টটি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পঞ্জব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, HDFC বা কোনও স্বীকৃত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে থাকে তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে তার কোনো সমস্যা হবে না।