নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা নববর্ষের আগেই এবার রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের নিয়ে প্রকাশ্যে এলো এক বড়োসড়ো আপডেট। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের (State Government) তরফে প্রফিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) বা জিপিএফ (GPF) নিয়ে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার থেকে জেনারেল প্রফিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কর্মরত কোন কর্মচারীই ৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা করতে পারবেন না।
জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা (Guideline) জারি করেছে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকার বেশি জমা করতে পারবেন না কোনও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কাজ করা কোনও সরকারি কর্মচারী।
জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে নিজেদের বেসিক বেতনের ৬ শতাংশ পর্যন্ত টাকা রাখতে পারেন। কিন্তু অনেক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধেই অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত সীমার বেশি টাকা রাখার অভিযোগ ওঠে।
তাছাড়া জিপিএফ-এ অন্যান্য জায়গার থেকে সুদের হার-ও অনেক বেশি। সরকারি কর্মীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখলে, তাঁকে ৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। যা স্বাভাবিক ভাবেই যে কোনো সাধারণ ব্যাঙ্কের সুদের থেকে অনেকটাই বেশি। সম্ভবত এই কারণেই বেশি সুদের জন্য অনেক সরকারি কর্মী নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি টাকা রাখছিলেন জিপিএফ অ্যাকাউন্টে। আর তাকে সেই অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে সরকারকেই।
আরও পড়ুন: দরকার পড়বে না আঠার! RBI-র এই নিয়ম জানলেই রমরমিয়ে চলবে ছেঁড়া-ফাটা নোট!
তাই সরকারকে যাতে কর্মীদের অতিরিক্ত সুদ দিতে না হয়, তাই অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সেকথাই জানানো হয়েছে। এই নতুন নিয়মে জানা যাচ্ছে এবার থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকান্টে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আর কেউ জমা করতে পারবেন না। আর তাই এই নিয়মকে ফাঁকি দিয়ে কোনও সরকারি কর্মীও বাড়তি সুদের জন্য অতিরিক্ত টাকা জমা করতে পারবেন না জিপিএফ-এ।
এই এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। আর এই অর্থ বর্ষেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য অনলাইনে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। যার ফলে এবার থেকে স্কুলে নয় অনলাইনেই তাঁরা জিপিএফ অ্যাকাউন্টের তথ্য দেখতে পারবেন।