নিউজ শর্ট ডেস্ক: সরকারি চাকরি হোক কিংবা বেসরকারি চাকরি এখনকার দিনে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি প্রত্যেক মাসেই টাকা জমানোও (Salary Savings) খুবই প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে স্যালারি (Salary) কম বা বেশি হওয়া টা কোন ব্যাপারই নয়। তাই যে যত বেশি অর্থ উপার্জনই করুক না কেন সঠিকভাবে টাকা না জমাতে না পারলে মাসের শেষে শূন্য পকেটেই ঘুরতে হবে।
তাই অনেকেই কম মাইনে পেলেও বুদ্ধি খাটিয়ে টাকা সঞ্চয় করে ভবিষ্যতে মোটা টাকার মালিক হতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষেরই টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক অনীহা দেখা যায়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষেরই একটাই অজুহাত ‘এখন স্যালারি কম পরে টাকা বাড়লে জমানো শুরু করবো।’ কিন্তু দেখা যায় বেতন বৃদ্ধির সাথে সাথেই তাদের খরচ-ও বেড়ে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত তারা কিছুই জমাতে পারেন না।
কিন্তু বুঝতে হবে বেতন কম হোক বা বেশি প্রত্যেক মাসে সঞ্চয় করা জরুরী। তাই যাদের বেতনের পুরো টাকাটাই খরচ করার অভ্যাস রয়েছে তাদের মাঝে শুরুতেই স্যালারি ঢোকার সাথে সাথেই হয় প্রথমে বিনিয়োগের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিতে হবে।
আর যদি কারও দ্বিতীয় কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে মাসের শুরুতে নিজের মনে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, যাই হয়ে যাক না কেন বিনিয়োগের জন্য রাখা এই টাকায় হাত লাগানো যাবে না কোনোভাবেই। কেউ যদি তার বেতন এবং সঞ্চয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারেন, তাহলে তিনি তার আর্থিক লক্ষ্য অর্জন লড়তে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আরও সস্তা হবে অনলাইন শপিং! Meesho ফিনিশ, এবার আসছে অ্যামাজন বাজার
তাই যার যতটুকু বেতন টাকা থেকেই সঞ্চয় করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি আর উন্নত পরিকল্পনা। এমনকি কারও বেতন যদি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকাও হয় তাহলেও তিনি অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। সঞ্চয়ের অভ্যাস না থাকায় প্রথম প্রথম অসুবিধা হলেও পরে টাকা জমানোটাই নেশা হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য। তবে সঞ্চয়ের শুরুতে প্রথমে বেতনের মাত্র ১০ শতাংশ দিয়ে সঞ্চয় শুরু করা যেতে পারে।
তাই প্রথম থেকেই পরিকল্পনামাফিক প্রথম ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে সঞ্চয় করতে হবে। কিন্তু কারও বেতন যদি ৫০ হাজার হয় এবং তার যদি স্ত্রী সন্তান থাকে তাহলে প্রতিমাসে তাঁর মাসিক বেতনের প্রায় ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী তাঁকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় করা উচিত। একইভাবে যদি কারও বেতন ১ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ শতাংশ অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। তবে বেতন বৃদ্ধির সাথে বিনিয়োগের পরিমাণ -ও বাড়াতে হবে।