নিউজ শর্ট ডেস্ক: পাহাড় প্রেমীদের কাছে বরাবরই অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা হল সিকিম (Sikkim)। উঁচু উঁচু পাহাড় ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর সিকিম যেন বাঙালির কাছে সুইজারল্যান্ড (Switzerland)। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো বটেই সেই সাথে দূষণমুক্ত পরিবেশ বারবার মুগ্ধ করে পর্যটকদের। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই পাহাড়ি রাজ্যে গেলে বারবার অবাক করেন এখানকার স্থানীয় মানুষজন।
তাঁদের ব্যবহার, কিংবা চারপাশের রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার মনোভাব দেখলে মনে হয় সত্যিই এদের কত কিছুই না শেখার আছে! তাছাড়া এখানের প্রকৃতির রূপের ডালি দেখলেই যেন মন হারিয়ে যায় কোন এক অচেনা জগতে। যেখান থেকে ফিরতে ইচ্ছা করে না কারও। সিকিম এমনই একটি জায়গা যেখানে না আছে দূষণ, না আছে মানুষের কোলাহল।
এখানকার সহজ সরল মানুষ সর্বক্ষণ মুখে হাসি নিয়ই স্বাগত জানাচ্ছেন পর্যটকদের। সিকিমের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পর্যটনস্থল।স্বয়ং প্রকৃতি দেবতা নিজেই যেন এই পাহাড়ি রাজ্যকে ঢেলে সাজিয়েছেন দুই হাত ভরে। তবে সিকিম মানে শুধুই কিন্তু গ্যাংটক কিংবা ছাঙ্গু লেক নয়। সিকিম মানেই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সাদামাটা গ্রাম্য জীবনও।
পূর্ব থেকে পশ্চিম সিকিম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মনোমুগ্ধকর পর্যটনস্থল। পূর্ব সিকিমে অবস্থিত এমনই একটি পাহাড়ি গ্রাম হল ডালাপচান্দ (Dalapchand)। যারা সিল্ক রোড ঘুরতে যান তারা নিশ্চয়ই এই জায়গাটির কথা শুনে থাকবেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এখানে পৌঁছাতে সময় লাগে ঘন্টা চারেক। তাই বোঝাই যাচ্ছে জায়গাটি খুব বেশি দূরে নয়, আবার কাছেও নয়।
আরও পড়ুন:পাল্টে যাচ্ছে কলকাতা মেট্রো! শুরু হল নতুন ভূগর্ভস্থ মেট্রো তৈরীর কাজ, কি কি থাকছে?
তিস্তা রাংপোকে পাশে ফেলে এঁকেবেঁকে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে যায় রাস্তা। প্রসঙ্গত পূর্ব সিকিমে বরফের চেয়ে বেশি দেখা যায় সবুজ ঘেরা জঙ্গল। সিকিমের অন্যতম একটি বড় শহর হল রাংপো। এই রাংপো থেকে ডালাপচান্দের দূরত্ব এক ঘন্টার মত। তাই এই গরমের ছুটিতে কেউ চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে।
এই গরমে এখানে গেলে আরাম তো লাগবেই, তবে একটা সময় এখানে গায়ে সোয়েটার চাপাতে হতে পারে। তবে কেউ চাইলে সিল্ক রুট থেকে ট্রেকিং-এও যেতে পারেন। একটা সময় তিব্বত থেকে পণ্য সামগ্রী নিয়ে যে সমস্ত বণিকরা আসতেন তারা এই ডালাপচান্দ গ্রামে বিশ্রাম নিতেন। এই গ্রামের মূল বিশেষত্বই হল রংবেরঙের বাহারি ফুল। যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকে শুধু ফুলে ভরা চারপাশ দেখা যাবে। তবে এখানে বর্ষাকালে না আসাই ভালো।