নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রত্যেকটি মানুষই সঠিক জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ(Investment) করে মোটা টাকা ইনকাম করতে চায়। এক্ষেত্রে হাতে কিছু টাকা থাকলে সেই টাকা বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্নের অপেক্ষা করে বহু মানুষ। কিন্তু কোথায় টাকা বিনিয়োগ করা উচিত? কোথায় বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন আসবে এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই থাকে।
ধরুন, আপনার হাতে এখন ১ কোটি টাকা রয়েছে। এবার এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করে মাসিক রোজগার হবে সেটা নিশ্চয়ই জানতে চাইছেন। তবে ১ কোটি টাকা কিন্তু কম টাকা না, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ না করলে আপনার টাকা নষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার টাকা ডেবট মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান মিউচুয়াল ফান্ডে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এরপর প্রত্যেক মাসে সুদ সমেত গ্রাহক সেই টাকা ফেরত পাবেন।
১) এসডব্লিউপি-তে সাধারণত ডেবট মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। এখানে পেশাদার ফান্ড ম্যানেজাররা আপনার বিনিয়োগ দেখভাল করে থাকবে। এখানে যে কোন সময় বিনিয়োগের টাকা তুলে নেওয়া যায়। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন এখানে কিন্তু বিনিয়োগে বেশ ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা ডবল! কিভাবে কি সুবিধা মিলবে জানেন?
২) এরপর আপনার কাছে আরেকটি অপশন হল ফিক্সড ডিপোজিট। নিরাপত্তা এবং নিশ্চিত রিটার্নের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট একটি জনপ্রিয় বিকল্প। যে কোন ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস থেকে আপনি ফিক্সড ডিপোজিটে একাউন্ট খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে মেয়াদ রয়েছে ৭ দিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। এখানে কোন ঝুঁকি নেই ফলে গ্রাহকেরা টাকা পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার পছন্দমত মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুবিধা পাবেন। তবে এখানের সাথে যেহেতু বাজারের কোন সম্পর্ক নেই। তাই এখানে বিনিয়োগের তুলনায় রিটার্নও কম পাওয়া যায়।
৩) এরপরে আপনার কাছে আরও একটা অপশন হল পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম। এখানে সুদের টাকা প্রত্যেক মাসে পাওয়া যায়। এখানে সিঙ্গেল একাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লাখ এবং জয়েন্ট একাউন্টে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এখানে আপনার টাকা সুরক্ষিত থাকবে এবং মেয়াদ শেষে গ্রাহকেরা টাকা রিটার্ন পেয়ে যাবে। তবে এখানে বিনিয়োগের সীমা যেহেতু বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই এর থেকে বেশি বিনিয়োগ করা যাবে না।
৪) এরপর আরেকটি অপশন হল রিয়েল এস্টেট। আপনি রিয়েল এস্টেটের জমি বা বাড়িতে বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া বা লিজ থেকেও আপনি রোজগার করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাই আপনার ভাড়া বাড়বে এবং আপনার আয় অনেক বেশি হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সবসময় মনে রাখবেন মিউচুয়াল ফান্ডে বা শেয়ার মার্কেটে অর্থ রাখলে সেক্ষেত্রে সেই জায়গা ঝুঁকি সম্পন্ন। তাই যে কোন রকমের অর্থ বিনিয়োগের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র শিক্ষা মূলক হিসেবে লেখা হয়েছে। তাই এই বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিউজশর্ট কোন দায়ী নয়।