নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রত্যেকটি মানুষই নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কম-বেশি অর্থ সঞ্চয় করে রাখেন। অনেকেই ইন্সুরেন্স করে থাকেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে শুরু করে এলআইসিতে নানা রকমের ইন্সুরেন্স প্ল্যান রয়েছে। এমনই একটি জনপ্রিয় টার্ম ইন্সুরেন্স প্ল্যান অফার করছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বলাই বাহুল্য, এই প্ল্যানটি দরিদ্র মানুষের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্ল্যানটির নাম হল SBI লাইফ গ্রামীণ বীমা(SBI Life Grameen Bima)।
আজকের এই প্রতিবেদনে এই প্ল্যানটি সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। এই প্ল্যানটিতে আপনি প্রত্যেক বছর মাত্র ৩০০ টাকা বিনিময়ে ভবিষ্যতের জন্য করতে পারবেন। এই স্টেট ব্যাংকের লাইফ গ্রামীণ বীমা ইন্সুরেন্স পলিসি নিতে হলে গ্রাহককে ন্যূনতম বয়স ১৮ হতে হবে এবং সর্বোচ্চ বয়স ৫০-এর কম হতে হবে।
কি কি বৈশিষ্ট্য আছে এই পলিসির?
১) আপনি খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে এই পলিসি খুলতে পারবেন।
২) এই পলিসি ওপেন করার জন্য কোন রকমের শারীরিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে না।
৩) এই পলিসিতে শুধুমাত্র একবার অর্থ বিনিময় করতে হবে।
৪) এই লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসিতে কোন গ্রেস পিরিয়ড প্রযোজ্য নয়।
৫) তবে মনে রাখবেন, এই ইন্সুরেন্স পলিসি থেকে আপনি কোন রকমের লোনের সুবিধা পাবেন না।
এই ইন্সুরেন্স পলিসির কভারেজ:
ডেথ কভারেজ: এই পলিসি নেওয়ার পর গ্রাহকের মৃত্যু হলে ওই ব্যক্তি পরিবার এই ইন্সুরেন্স পলিসি থেকে ডেথ বেনিফিট পেয়ে যাবেন। ধরুন, ৩২ বছর বয়সে কোন একজন ব্যক্তি এই পলিসিটি কিনেছেন। তার স্ত্রীকে এই পলিসিতে নমিনি করেছেন। এই পলিসিতে তিনি ২০০০ টাকা প্রদান করেছেন।
এরপরে কোন দুর্ঘটনা বসত ওই ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার স্ত্রী ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবে। এর কারণ ১৮ থেকে ৩৯ বছর পর্যন্ত একক প্রিমিয়ামের ওপর ষাটগুণ কভারেজ দেওয়া হয়। তাই ২ হাজারের ষাট গুণ হিসাবে ২০০০*৬০ অর্থাৎ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবে।
ম্যাচুরিটি বেনিফিট: মনে রাখবেন এই ইন্সুরেন্স পলিসিতে কোন রকমের ম্যাচুরিটি বেনিফিট পাওয়া যাবে না। তাই এখানে টাকা দেওয়ার পর পাঁচ বছর পর আপনি কোন রিটার্ন পাবেন না।
আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন যদি এই পলিসি নেওয়ার পর গ্রাহক পাঁচ বছরের মধ্যে আত্মহত্যা করেন তাহলে তার পরিবার প্রদত্ত প্রিমিয়ামের ৪০ শতাংশ টাকা ফেরত পাবেন এবং এই পলিসিটি বন্ধ হয়ে যাবে।