নিউজ শর্ট ডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহে কার্যত পুড়ছে গোটা বাংলা। প্রচন্ড এই গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলার মানুষ। গোটা রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হলেও দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই হুহু করে বাড়ছে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা (Summer Temparature)। সেইসাথে আদ্রতা জনিত অস্বস্তির কারণে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগার রাজ্যবাসীর।
ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও মারাত্মক আকার নিতে চলে রাজ্যের কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা। এমনকি ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের কথা ভেবে বাড়তে চলেছে রাজ্যের সরকারি স্কুলের গরমের ছুটি (Summer Vacation)।
প্রসঙ্গত বছরের শুরুতেই রাজ্য সরকারের (State Government) তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল এবছর গরমের ছুটি দশ দিনের বেশি দেওয়া হবে না। পরে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরু হতেই গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২২ দিনের করা হয়। সেই অনুযায়ী গত মাসেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছিল আগামী মাসে অর্থাৎ ৬মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্য সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে।
ভোটের কারণে সেই ছুটি চলবে ২ জুন পর্যন্ত। কিন্তু রাজ্যজুড়ে যে হারে গরমের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ চলছে তাতে স্কুল কলেজে যেতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার জোগাড়।তাই সকলের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই আগামী ২২ এপ্রিল থেকেই সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝড়ের বেগে আসছে আরও ৫০ টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস! থাকছে ৩ টি বিরাট চমক
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বর্তমানে যে হারে তাপপ্রবাহ বাড়ছে তাতে সকাল দশটার পর থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত বাইরে না বেরনোই ভালো। সেইসাথে শরীর যাতে জলশূন্য না হয় সেজন্য প্রত্যেককে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল এবং গ্লুকোজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এই গরমে সমস্ত পরামর্শ মেনেও স্কুলে ক্লাস করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অধিকাংশ পড়ুয়ারা। তাই এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের অনুরোধ এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে গরমের ছুটি বাড়াতে পারে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর এখন যে হারে রাজ্যের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে তাতে আগামী ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকেই গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার প্রবল। এর ফলে গরমের ছুটির মেয়াদ এক মাসেরও বেশি হতে চলেছে।